বুধবার সকালে জানা যায়, জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন পেসার হিথ স্ট্রিক প্রয়াত হয়েছেন। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু প্রাক্তন সতীর্থর মৃত্যুসংবাদ উড়িয়ে দিলেন হেনরি ওলোঙ্গা।
জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন পেসার হিথ স্ট্রিক কি সত্যিই প্রয়াত? তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ হেনরি ওলোঙ্গার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট কিন্তু সেটা বলছে না। হোয়াটস চ্যাটের স্ক্রিনশট শেয়ার করে ওলোঙ্গার দাবি, স্ট্রিক সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তিনি নিজের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে হাসছেন। তিনি মনে করছেন, এভাবেই আয়ু বেড়ে যাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ ওলোঙ্গা লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, হিথ স্ট্রিকের প্রয়াত হওয়া সংক্রান্ত যে গুজব রটানো হয়েছে, সেটা অতিরঞ্জিত। ওর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তৃতীয় আম্পায়ার ওকে ফিরিয়ে এনেছেন। ও বেঁচে আছে।’ ওলোঙ্গার এই পোস্টের পর স্ট্রিককে নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এর আগেই ওলোঙ্গাই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে স্ট্রিকের মৃত্যুসংবাদ দেন। প্রাক্তন সতীর্থর প্রয়াণে শোকপ্রকাশও করেন। কিন্তু এরপর অন্য দাবি করছেন ওলোঙ্গা।
এর আগে জানা যায়, ৪৯ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন স্ট্রিক। ২০০০ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক ছিলেন এই পেসার। ১৯৯৬ সালের ওডিআই বিশ্বকাপেও তিনি খেলেছিলেন। সেবার ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান এই পেসার। মাত্র ৩ রান করেই স্ট্রিকের বলে বোল্ড হয়ে যান সচিন তেন্ডুলকর। তাঁর মিডল স্টাম্প ছিটকে দেন স্ট্রিক। তখনই তিনি বিখ্যাত হয়ে যান। জিম্বাবোয়ের হয়ে ৬৫টি টেস্ট ম্যাচ, ১৮৯টি ওডিআই খেলেন স্ট্রিক। ২০০০ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তিনি জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক ছিলেন। জিম্বাবোয়ের একমাত্র বোলার হিসেবে টেস্ট ম্যাচে ১০০-র বেশি উইকেট পাওয়ার রেকর্ড গড়েন স্ট্রিক। ১২ বছরের কেরিয়ারে জিম্বাবোয়ের বোলিং বিভাগের প্রধান ভরসা ছিলেন স্ট্রিক।
১৯৯৯ সালে ওডিআই বিশ্বকাপে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল জিম্বাবোয়ে। সেবার ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিল তারা। সেই দলের অন্যতম ভরসা ছিলেন স্ট্রিক। সেই সময়টাই জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা। স্ট্রিক, মারে গুডউইন, নিল জনসন, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার-সহ একাধিক ক্রিকেটার সেই সময় অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান। কিন্তু তারপরেই বর্ণবৈষম্যের জেরে ছত্রাখান হয়ে যায় জিম্বাবোয়ের ক্রিকেট।
জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় স্ট্রিক। তিনি টেস্ট, ওডিআই মিলিয়ে ৪,৯৩৩ রান করেন এবং ৪৫৫টি উইকেট নেন। তিনিই জিম্বাবোয়ের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ১,০০০ রান ও ১০০ উইকেট এবং ওডিআই ফর্ম্যাটে ২,০০০ রান ও ২০০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন। এই প্রাক্তন ক্রিকেটার কোলন ও লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এ বছরের মে মাসে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তখন তাঁকে এবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এবার তাঁর মৃত্যুসংবাদ পাওয়া গেল।
আরও পড়ুন-
আইপিএল-এর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সাফল্য, খ্যাতি উপভোগ করছেন রিঙ্কু সিং
ব্যর্থতা সত্ত্বেও সূর্যকুমারের দলে থাকা নিয়ে কটাক্ষ? চাহালের পোস্ট নিয়ে জল্পনা
এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার আগেই ফিট হয়ে যাবেন কে এল রাহুল, আশাবাদী সুনীল গাভাসকর