এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ থেকেই বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। রবিবার আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরবেন বাবর আজমরা।
২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে ভরাডুবি থেকে শিক্ষা নেয়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তখন যে ছন্নছাড়া অবস্থা ছিল, এখনও সেই একই হাল। জাতীয় সিনিয়র ক্রিকেট দলের উপর বোর্ডের ডামাডোলের প্রভাব পড়ছে। এবারের টি-২০ বিশ্বকাপেও গ্রুপ থেকেই বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপে ভারতের কাছে পাকিস্তানের হার নিয়মে পরিণত হয়েছে। এবারও সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু ভারতের কাছে হারার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও হেরে গিয়েছে পাকিস্তান। টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর বাবর আজমদের পারফরম্যান্স নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। অনেকেই ক্রিকেটারদের দোষারোপ করছেন। তবে অনেকেই আবার পিসিবি কর্তাদের কাঠগড়ায় তুলছেন।
অধিনায়কত্ব নিয়ে কেন টানাপোড়েন?
২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের পর অধিনাকত্ব ছাড়তে বাধ্য হন বাবর। এরপর টেস্টে শান মাসুদ এবং সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেয় পিসিবি। নতুন অধিনায়কদের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে পাকিস্তান। এরপর নতুন পিসিবি চেয়ারম্যান হন মহসিন নকভি। তিনি দায়িত্ব নিয়েই আফ্রিদিকে সরিয়ে বাবরকে ফের অধিনায়ক নিয়োগ করেন। টি-২০ বিশ্বকাপের তিন মাস আগে এই পরিবর্তনের ফল ভালো হয়নি। টিম ডিরেক্টর পদ থেকে প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ হাফিজকে সরিয়ে দেওয়ারও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
ভুল থেকে শিক্ষা নেয়নি পাকিস্তান
হাফিজ দাবি করেছেন, ফিটনেসের সঙ্গে আপস করেছে পিসিবি। আজম খানের তীব্র সমালোচনা করেছেন হাফিজ। পাকিস্তানের অন্যান্য প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও ক্ষুব্ধ। বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। প্রাক্তন ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ বলেছেন, ‘বাবর আজম যেদিন থেকে অধিনায়ক হয়েছে, আমরা মাঝারি মানের দলগুলির কাছে হেরে চলেছি।’ বাবর ও মহম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Azam Khan: পাকিস্তানের অন্যান্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে ফিরবেন না আজম খান! কারণ কী?
Pakistan Cricket Team: টি-২০ বিশ্বকাপে ব্যর্থতা, বাবর আজমের ডানা ছাঁটছে পিসিবি