
Demise of Dickie Bird: ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত ডিকি বার্ড। ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় আম্পায়ার তিনিই। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করেন তিনি। প্রথম নাম হ্যারল্ড হলেও, পরবর্তীকালে সেই নাম আর কেউই মনে রাখেননি। ডিকি নামই জনপ্রিয় হয়ে যায়। দীর্ঘ কেরিয়ারে ৬৬টি টেস্ট ম্যাচ এবং ৬৯টি ওডিআই ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন ডিকি বার্ড। পরপর তিনবার বিশ্বকাপ ফাইনালে আম্পায়ারিং করেন তিনি। ১৯৭৫, ১৯৭৯ ও ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপের পর ১৯৮৭ ও ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালেও আম্পায়ারিং করতে পারতেন তিনি। কিন্তু এই দু'বারই ইংল্যান্ড ফাইনালে পৌঁছনোয় নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে ডিকি বার্ডকে দায়িত্ব দিতে পারেনি আইসিসি। তবে তাঁকে দায়িত্ব দিলে বোধহয় বিপক্ষ দল আপত্তি করত না। কারণ, নিরপেক্ষতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন ডিকি বার্ড। তাঁর দীর্ঘ কেরিয়ারে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বলতে গেলে নেই। এই আম্পায়ারের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ক্রিকেট দুনিয়া।
১৯৮৩ সালে কপিল দেবের (Kapil Dev) নেতৃত্বে প্রথমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেট (1983 Cricket World Cup) জেতে ভারতীয় দল। সেবার ফাইনালে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ (India vs West Indies) ম্যাচে আম্পায়ার ছিলেন ডিকি বার্ড। ১৯৯৬ সালে তাঁর শেষ টেস্ট ম্যাচ ছিল ভারত ও ইংল্যান্ডের (India vs England) সিরিজে। এই সিরিজেই লর্ডসে (Lord's Cricket Ground) ভারতীয় ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) ও রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) টেস্ট অভিষেক হয়। সেই ম্যাচের পরেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে যান ডিকি বার্ড। তবে এরপর আরও কয়েক বছর তিনি আম্পায়ারিং করেন।
ইয়র্কশায়ার ক্রিকেট ক্লাবের (Yorkshire Cricket Club) হয়ে ৯ বছর ধরে খেলেছেন ডিকি বার্ড। তিনি টপ অর্ডার ব্যাটার ছিলেন। খেলা ছাড়ার পর এই ক্লাবের হয়ে কোচিং করেন তিনি। আম্পায়ারিং থেকে অবসর নেওয়ার পর ইয়র্কশায়ার ক্রিকেট ক্লাবের প্রেসিডেন্টও হন ডিকি বার্ড। তাঁর প্রয়াণে এই ক্লাবের পক্ষ থেকে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।