IND vs SA 5th T20: দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-২০ সিরিজ জয় ভারতের। পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের একটি ম্যাচ ভেস্তে যায়। বাকি চারটির মধ্যে তিনটিতে জেতে ভারত এবং একটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষপর্যন্ত, ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় ভারতের। সেইসঙ্গে, শেষ টি-২০ ম্যাচে ৩০ রানে জয়।
যে জয়ের পিছনে অনেক বড় অবদান তিলক ভার্মা এবং হার্দিক পান্ডিয়া। সঙ্গে বল হাতে বুমরা এবং বরুণ চক্রবর্তী। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে শুক্রবার, চলতি টি-২০ সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা। আর সেই ম্যাচেই, টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রোটিয়ারা। আর ব্যাট করতে নেমে, শুরু থেকেই চালিয়ে খেলেন টিম ইন্ডিয়ার ওপেনাররা।
সঞ্জু স্যামসন করেন ২২ বলে ৩৭ রান এবং অভিষেক শর্মার ঝুলিতে ২১ বলে ৩৪ রান। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইছিল, সেই মোমেন্টামকে ধরে রাখতে। তাই সঠিক সময়ে, উপযুক্ত কাজটি করে গেলেন তিলক ভার্মা। খেললেন ৪২ বলে ৭৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস। তবে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এদিনও ব্যর্থ। সংগ্রহে মাত্র ৫ রান। কিন্তু দলকে সঠিকভাবেই পরিচালনা করেছেন।
তারপরেই শুরু হার্দিক ঝড়। মাত্র ১৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করলেন এই তারকা অলরাউন্ডার। রীতিমতো বিধ্বংসী ব্যাটিং। শুরুটাই করলেন ছয় মেরে।তাঁকে থামাতেই পারছিলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। একটা সময়, প্রোটিয়া বোলাররা বুঝতেই পারছিলেন না যে, কোথায় বল করা ঠিক হবে! এটাকেই বলে হার্দিক ঝড়। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে কার্যত, একাই তছনছ করে দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া (fastest t20i fifty)।
বলা যেতেই পারে, সত্যিই যেন পিকচার পারফেক্ট মুভি। অনবদ্য ব্যাটিং। নিঃসন্দেহে ২২ গজে ঝড় তুললেন ভারতের অন্যতম তারকা হার্দিক পান্ডিয়া (ind vs sa)। একের পর এক চার-ছয়ের বন্যা বইয়ে দিলেন আহমেদাবাদে। উপহার দিলেন ২৫ বলে ৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ২৫২.০০। ৫টি চার এবং ৫টি ছয় ছিল তাঁর ইনিংসে। আর হাফ সেঞ্চুরি করেই সোজা গ্যালারির দিকে ফ্লাইং কিস।
কারণ, সেখানে তখন বসে হার্দিকের বান্ধবী মাহিকা শর্মা। জীবনের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলেই প্রিয়তমার কাছে পাঠিয়ে দিলেন চুম্বন। গোটা গ্যালারি তখন হার্দিকের অবিস্মরণীয় ইনিংসে মুগ্ধ। এরপর নেমে শিবম দুবে যোগ করলেন ১০ রান। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২টি উইকেট নেন করবিন বোশ ও ১টি করে উইকেট নেন জর্জ লিন্ডে এবং ওটনিল বার্টম্যান।
নির্ধারিত ২০ ওভারে, ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান তোলে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে, শুরুটা ভালো করে প্রোটিয়ারা। ওপেনার কুইন্টন ডি কক করেন ৬৫ রান। কিন্তু তিনি আউট হওয়ার পর ক্রমশ তাল কাটে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন-আপের। রিজা হেন্ড্রিক্স ফিরে যান মাত্র ১৩ রান। ডিওয়াল্ড ব্রেভিস কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন। তবে তা যথেষ্ট ছিল না। তাঁর সংগ্রহে ১৭ বলে ৩১ রান।
ডেভিড মিলারের ঝুলিতে মাত্র ১৮ রান, অধিনায়ক এইডেন মার্করামের সংগ্রহে মাত্র ৬ রান এবং জর্জ লিন্ডে করেন ১৬ রান। ডোনোভান ফেরেরা তো খালি হাতে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অপরদিকে, মার্কো জ্যানসেন ১৪ রান, করবিন বোশ ১৭ এবং লুঙ্গি এনগিডি করেন ৭ রান। অর্থাৎ, বোঝাই যাচ্ছে যে, বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো খেই হারিয়ে ফেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা।
নির্ধারিত ২০ ওভারে, ৮ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান তুলতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের হয়ে দাপুটে বোলিং করেন বরুণ চক্রবর্তী। তিনি একাই নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ২টি উইকেট পেয়েছেন যশপ্রীত বুমরা। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন আর্শদীপ সিং এবং হার্দিক পান্ডিয়া।
ভারত জয়ী ৩০ রানে। ম্যাচের সেরা হার্দিক পান্ডিয়া। সিরিজের সেরা বরুণ চক্রবর্তী।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।