বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে জায়গা করে নিতে হলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে বড় ব্যবধানে জয় পেতে হবে ভারতীয় দলকে। নাগপুর টেস্টের প্রথম দিনই সেই আশা বাড়ালেন রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা।
নাগপুর টেস্ট শুরু হওয়ার আগে বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের পিচে জুজু দেখছিল অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম। তাদের ক্রিকেটে মন দিতে বলেছিলেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু এই ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা দেখে বোঝা গেল, অস্ট্রেলিয়ানদের দোষ নেই। তাদের আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ আছে। দলে দক্ষ ক্রিকেটার না থাকলে পিচ নিয়ে তো আশঙ্কা থাকবেই! টসে জিতে প্রথমে যখন ব্যাটিং করতে নামে অস্ট্রেলিয়া, তখন মনে হচ্ছিল পিচ থেকে সাহায্য পাচ্ছেন স্পিনাররা। কিন্তু অল্প রানেই স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশেনদের ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার পর ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও সহ-অধিনায়ক কে এল রাহুল যখন ব্যাটিং করতে নামলেন তখন দেখা গেল পিচ থেকে সাহায্য পাচ্ছেন ব্যাটাররা। আসলে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা যতই আইপিএল-এ খেলুন না কেন, ভারতের মাটিতে টেস্ট ম্যাচে কীভাবে ভালোমানের স্পিনারদের বিরুদ্ধে ব্যাটিং করতে হয়, সেটা এখনও শিখে উঠতে পারেননি তাঁরা। ভারতের ব্যাটাররা কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট ম্যাচে ব্যাটিংয়ের কৌশল শিখে গিয়েছেন। সেই কারণেই পরপর দু'বার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়া ১৯ বছর ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি। এবারও পারবে বলে মনে হচ্ছে না।
এদিন টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ১৭৭ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। দিনের শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ৭৭। রোহিত ৫৬ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ০ রানে অপরাজিত। রাহুলের অফফর্ম অব্যাহত। এদিন ৭১ বল খেলে ২০ রান করে টড মারফির বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রাহুল। তিনি কার্যত উইকেট ছুড়ে দেন। দিনের শেষে উইকেট না পড়লে আরও ভালো জায়গায় থাকত ভারতীয় দল।
নাগপুর টেস্টের প্রথম দিন ভারতীয় দলের নায়ক রবীন্দ্র জাদেজা। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নেমে প্রথম দিনই ৪৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন এই স্পিনার। অপর এক অভিজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও ভালো বোলিং করেন। ৪২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন অশ্বিন। ১৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন মহম্মদ সামি। ৩০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখান লাবুশেন। তিনি করেন ৪৯ রান। স্মিথ করেন ৩৭ রান। ৩৬ রান করেন অ্যালেক্স কেরি। ৩১ রান করেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। বাকিরা কেউই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি।
আরও পড়ুন-
শুক্রবার শুরু মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপ, নজর কেড়ে নিতে পারেন এই ক্রিকেটাররা
টি-২০ র্যাঙ্কিংয়ে অলরাউন্ডারদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে হার্দিক পান্ডিয়া
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দিন ঘোষণা, অস্ট্রেলিয়াকে হারালেই নিশ্চিত ভারত