সংক্ষিপ্ত

টি-২০ র‍্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটারদের মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রাখলেন সূর্যকুমার যাদব। অলরাউন্ডারদের তালিকায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হল হার্দিক পান্ডিয়ার। উন্নতি করেছেন শুবমান গিলও। 

টি-২০ র‍্যাঙ্কিংয়ে চোখে পড়ার মতো উন্নতি করলেন হার্দিক পান্ডিয়া। অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষে থাকা বাংলাদেশের শাকিব আল-হাসানের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান একেবারে কমিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন হার্দিক। শাকিবের পয়েন্ট ২৫২ এবং হার্দিকের পয়েন্ট ২৫০। সম্প্রতি টি-২০ ফর্ম্যাটে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখানোর সুবাদেই র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন হার্দিক। অলরাউন্ডারদের তালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে ভারতের আর কেউ নেই। বোলারদের তালিকাতেও প্রথম ১০ জনের মধ্যে ভারতের কেউ নেই। ব্যাটারদের মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁর রেটিং৯০৬। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মহম্মদ রিজওয়ানের রেটিং৮৩৬। ফলে আপাতত শীর্ষস্থান হারানোর কোনও আশঙ্কাই নেই সূর্যকুমারের। তিনি টি-২০ ফর্ম্যাটে সবার উপরেই থাকছেন। টি-২০ র‍্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেটিংয়ের রেকর্ড ইংল্যান্ডের ডেভিড মালানের দখলে। তিনি ৯১৫ রেটিং পেয়েছিলেন। সূর্যকুমারের সবচেয়ে বেশি রেটিং ৯১০। বিরাট কোহলির সবচেয়ে বেশি রেটিং ৮৯৭। কে এল রাহুলের সবচেয়ে বেশি রেটিং ৮৫৪। আরও ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে রেটিংয়ে মালানকে ছাপিয়ে যাওয়াই সূর্যকুমারের লক্ষ্য।

টি-২০ র‍্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছেন শুবমান গিল। তিনি ৩০ নম্বরে উঠে এসেছেন। মাত্র ৬টি টি-২০ ম্যাচ খেলেই অসাধারণ উন্নতি করেছেন শুবমান। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ ফর্ম্যাটে নিজের প্রথম শতরান করেন শুবমান। এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদেই তিনি র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন।

ভারতের অন্য ব্যাটারদের মধ্যে ১৫ নম্বরে আছেন বিরাট। রাহুল আছেন ২৭ নম্বরে। রোহিত শর্মা ২৯ নম্বরে। ঈশান কিষান আছেন ৪৮ নম্বরে।

ওডিআই র‍্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটারদের মধ্যে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার ৬ ধাপ উন্নতি করে এখন ২০ নম্বরে। বোলারদের মধ্যে ২২ নম্বরে জোফ্রা আর্চার। তিনি ১৩ ধাপ উন্নতি করেছেন।

টি-২০ র‍্যাঙ্কিংয়ে বোলারদের তালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে ভারতের কেউ না থাকলেও, ১৩ নম্বরে উঠে এসেছেন তরুণ বাঁ হাতি পেসার আর্শদীপ সিং। এটাই তাঁর কেরিয়ারের সেরা র‍্যাঙ্কিং। ২১ নম্বরে নেমে গিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অক্ষর প্যাটেল যথাক্রমে ২৯ ও ৩০ নম্বরে।

ভারতীয় দল এখন বেশ কিছুদিন সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলবে না। বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ। ৪ টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলবে ২ দল। টেস্ট সিরিজ শেষ হলে সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে ফিরবে ভারতীয় দল। ততদিন লাল বলের ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকবেন রোহিত-বিরাটরা।

আরও পড়ুন-

রাহুল, শুবমান, সূর্যকুমারকে টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত, মত সচিনের

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দিন ঘোষণা, অস্ট্রেলিয়াকে হারালেই নিশ্চিত ভারত

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ হেরেও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে পৌঁছতে পারে ভারত