শুক্রবার শুরু হচ্ছে ভারত-আয়ারল্যান্ডের টি-২০ সিরিজ। এই সিরিজে ভারতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে মূলত তরুণ ক্রিকেটারদের। প্রথমবার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন রিঙ্কু সিং।
এবারের আইপিএল-এ কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পরেই জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার আশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জাতীয় দলে সুযোগ পাননি কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা রিঙ্কু সিং। তবে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে ভারতীয় দলে আছেন এই ব্যাটার। জাতীয় দলের সতীর্থদের সঙ্গে আয়ারল্যান্ড উড়েও গিয়েছেন রিঙ্কু। শুক্রবার প্রথম টি-২০ ম্যাচ। তার আগে বিসিসিআই-এর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রিঙ্কুর সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন সতীর্থ জিতেশ শর্মা। তাঁকে প্রথমবার জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন রিঙ্কু।
জিতেশকে রিঙ্কু বলেছেন, ‘আমার ভালো লাগছে। কারণ, ভারতের হয়ে খেলার স্বপ্ন সব খেলোয়াড়েরই থাকে। আমি হোটেলের ঘরে পৌঁছনোর পর যখন আমার নাম লেখা ৩৫ নম্বর জার্সি দেখতে পাই, তখন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। আমি যেটার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলাম, সেটা শেষপর্যন্ত হল। আমি নয়ডায় ছিলাম। সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে অনুশীলন করছিলাম। যখন ভারতীয় দল ঘোষণা করা হয়, তখন আমি খুব খুশি হই। আমার মাকে ফোন করে এই খবর দিই। তিনি সবসময় আমাকে ভারতের হয়ে খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন।’
এবারের আইপিএল-এ কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেন রিঙ্কু। ১৪ ম্যাচ খেলে ৪৭৪ রান করেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। তাঁর ব্যাটিংয়ের গড় ৫৯.২৫ এবং স্ট্রাইক রেট ১৪৯.৫২। সর্বাধিক স্কোর অপরাজিত ৬৭। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে যশ দয়ালের বলে পরপর ৫টি ওভার-বাউন্ডারি মেরে কেকেআর-কে জেতান রিঙ্কু। এই ইনিংসই তাঁকে খ্যাতির শিখরে পৌঁছে দেয়। কেকেআর সমর্থকদের কাছে নায়ক হয়ে উঠেছেন রিঙ্কু। এবার জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেলে একইরকম পারফরম্যান্স দেখাতে চান রিঙ্কু। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সাফল্য পাবেন বলে আশায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
রিঙ্কু ও জিতেশ ২০১৩ সালে প্রথমবার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলার সুযোগ পান। রিঙ্কু খেলেন উত্তরপ্রদেশের হয়ে এবং জিতেশ খেলেন বিদর্ভর হয়ে। এবার তাঁরা একসঙ্গে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামছেন। এ প্রসঙ্গে জিতেশ বলেছেন, ‘জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। ভারতীয় দলের হয়ে অন্য দেশে যাওয়ার সুযোগ পেলে অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়। আমরা নিজেদের প্রতিভার পরিচয় দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমাদের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন-
'ভারতের সঙ্গে খেললে মনে হয় রাস্তার শিশুদের সঙ্গে খেলছি,' মন্তব্য অস্বীকার ইফতিকারের
দুর্নীতি দমন বিধি লঙ্ঘন, দ্বিতীয়বার শাস্তির মুখে মার্লন স্যামুয়েলস
Virat Kohli Fitness : ছুটি তো কী? জিমে গা ঘামানো অব্যাহত বিরাট কোহলির