দুর্নীতি দমন বিধি লঙ্ঘন, দ্বিতীয়বার শাস্তির মুখে মার্লন স্যামুয়েলস

ক্রিকেট থেকে ম্যাচ গড়াপেটা, স্পট-ফিক্সিং-সহ সবরকম দুর্নীতি দূর করার চেষ্টা করছে আইসিসি। তবে কোনওভাবেই ক্রিকেটকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারছে না আইসিসি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ক্রিকেটার মার্লন স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে ফের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেল। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন বিধির ৪টি ধারা লঙ্ঘন করেছেন স্যামুয়েলস। স্বাধীন দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইসিসি-র পক্ষ থেকেই স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ২০১৯ সালে টি১০ লিগ চলাকালীন এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি সংক্রান্ত বিধির ৪টি ধারা লঙ্ঘন করার অভিযোগ ওঠে। সেই কারণে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে আইসিসি। ৪২ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার ট্রাইব্যুনালে নিজের বক্তব্য জানান। তবে তাতে শাস্তি এড়াতে পারছেন না। আইসিসি-র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘এবার ট্রাইব্যুনাল সবপক্ষের বক্তব্য বিচার করে উপযুক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। উপযুক্ত সময়েই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হবে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৭১টি টেস্ট ম্যাচ, ২০৭টি ওডিআই ম্যাচ ও ৬৭টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন স্যামুয়েলস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি ১১,১৩৪ রান করেছেন এবং ১৫২ উইকেট নিয়েছেন। ২০২০ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু এর আগেই দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে যায়। ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা হাশিম আমলার নেতৃত্বে কর্ণাটক টাস্কার্সের হয়ে খেলেন স্যামুয়েলস। সেই সময়ই তিনি দুর্নীতি দমন বিধির ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৬ ও ২.৪.৭ ধারা লঙ্ঘন করেন। তিনি কোনও উপহার নেওয়া, কারও কাছ থেকে অর্থ নেওয়া, কারও আতিথেয়তা গ্রহণ বা অন্য কোনও সুবিধা নেওয়ার কথা আইসিসি দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকদের জানাননি। এই কারণেই তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি তিনি। তদন্তে প্রাসঙ্গিক বিষয় গোপন করে তদন্তে বাধা দিয়েছেন বা তদন্ত বিলম্বিত করেছেন। সেই কারণেই স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Latest Videos

২০১২ ও ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-২০ বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করেন স্যামুয়েলস। ২০১৬ সালে ইডেন গার্ডেন্সে টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে শেষ ওভারে অবিশ্বাস্য জয় পাওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে অশোভন আচরণ করেন এই ক্রিকেটার। তাঁর সেই আচরণ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। তবে নিজের আচরণ বদলাননি এই ক্রিকেটার। তাঁর বদমেজাজ যেমন বদলায়নি, তেমনই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টিতেও বদল আসেনি। ২০০৭ সালে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ সংক্রান্ত তথ্য পাচার করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২ বছরের জন্য নির্বাসিত হন স্যামুয়েলস। তারপরেও তিনি নিজেকে শুধরে নেননি।

আরও পড়ুন-

কে এল রাহুলের পক্ষে এশিয়া কাপে খেলা সম্ভবই নয়, দাবি রবি শাস্ত্রীর

অবসর ভেঙে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে বেন স্টোকস, জায়গা হল না জোফ্রা আর্চারের

Virat Kohli Fitness : ছুটি তো কী? জিমে গা ঘামানো অব্যাহত বিরাট কোহলির

Share this article
click me!

Latest Videos

‘বাংলায় সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হচ্ছে ভূমি এবং ভূমি রাজস্ব দফতরে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury
আমজনতার উদ্দেশ্যে অগ্নিমিত্রা পালের বক্তব্য, দেখুন সরাসরি
'আপনি হিন্দুদের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন নি', মুর্শিদাবাদের জনসভা থেকে Mamataকে আক্রমণ Suvendu-র
‘Sanatani-দের ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে!’ বেলডাঙ্গাতে সীতা রাম মন্দির উদ্বোধনে বার্তা Suvendu Adhikari-র
Suvendu Adhikari : মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় সীতা রাম মন্দিরের উদ্বোধন করলেন শুভেন্দু অধিকারী