ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে সফলতম দল মুম্বই। কিন্তু প্রায় তিন দশক ইরানি কাপ জিততে পারেনি সচিন তেন্ডুলকর, ওয়াসিম জাফর, রোহিত শর্মাদের দল। শনিবার এই ট্রফির খরা কাটাল মুম্বই।
অবশিষ্ট ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে ২৭ বছর পর ইরানি কাপ জিতল মুম্বই। এই নিয়ে ১৫ বার ইরানি কাপ চ্যাম্পিয়ন হল অজিঙ্কা রাহানের দল। অবশিষ্ট ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৫৩৭ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ৩২৯ রান করে মুম্বই। অবশিষ্ট ভারত প্রথম ইনিংসে ৪১৬ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাটিং করার সুযোগ পায়নি অবশিষ্ট ভারত। রাহানের নেতৃত্বে রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবার ইরানি কাপও চ্যাম্পিয়ন হল মুম্বই। ফলে সিনিয়র পর্যায়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে রাহানেদের একচ্ছত্র আধিপত্য ফের প্রতিষ্ঠিত হল। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই মুম্বইয়ের লক্ষ্য।
মুম্বইয়ের নায়ক তনুশ কোটিয়ান
অবশিষ্ট ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে চাপের মুখে অপরাজিত শতরান করে মুম্বইকে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করলেন তনুশ কোটিয়ান। ৮ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ১১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তনুশ। তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথমবার শতরান করলেন। মুম্বইয়ের ক্রিকেেটের ইতিহাসে ঠাঁই পেয়ে গেল এই ইনিংস। শুক্রবার ৮ উইকেটে ১৭১ রান করে চাপে পড়ে গিয়েছিল মুম্বই। সেই পরিস্থিতিতে অসাধারণ ইনিংস খেলে মুম্বইকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করলেন তনুশ। প্রথম ইনিংসে অবশিষ্ট ভারতের চেয়ে ১২১ রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে জয় পেল মুম্বই।
ম্যাচের সেরা সরফরাজ
মুম্বইয়ের হয়ে প্রথম ইনিংসে ২২২ রান করে অপরাজিত থাকেন সরফরাজ খান। এই অনবদ্য ইনিংসও মুম্বইকে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করল। সরফরাজ এই ইনিংস খেলতে না পারলে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকতে পারত না মুম্বই। এই কারণেই ব্যাটিং-বোলিংয়ে তনুশের অসাধারণ পারফরম্যান্সের পরেও ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেন সরফরাজ। দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরেই খুশি তনুশ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের দিন গোয়ালিয়র বনধের ডাক, শান্তি বজায় রাখতে কড়া ব্যবস্থা পুলিশের
আইপিএল-এ আরসিবি-র কাছে হারের পর রাগে ড্রেসিংরুমে টেলিভিশন সেট ভেঙেছিলেন 'ক্যাপ্টেন কুল' ধোনি?
প্রাক্তন ক্রিকেটার সলিল আঙ্কোলার মায়ের রহস্যমৃত্যু, ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার দেহ, তদন্তে পুলিশ