
Cricket News: একদিকে উজ্জ্বল আলো, অন্যদিকে অন্ধকার। শিলিগুড়ির মেয়ে রিচা ঘোষ (Richa Ghosh) যখন ভারতীয় দলের হয়ে ওডিআই বিশ্বকাপ (2025 ICC Women's Cricket World Cup) জিতে উত্তরবঙ্গ তথা বাংলার গর্ব হয়ে উঠেছেন, তখন তাঁরই শহরের এক বিশেষভাবে সক্ষম ক্রিকেটার আর্থিক সমস্যায় জেরবার। মাঠে যেমন লড়াই করতে হয়, তেমনই মাঠের বাইরেও সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। এই ক্রিকেটারের নাম মুন্না সরকার। তিনিও বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলেছেন। ২০২৩ সালে কাতারের (Qatar) রাজধানী দোহায় (Doha) বধিরদের জন্য আয়োজিত টি-২০ বিশ্বকাপে (2023 Deaf Cricket World Cup) ভারতীয় দলে ছিলেন মুন্না। সেই টুর্নামেন্টে ভারতীয় দল রানার্স হয়। কিন্তু বিশ্বকাপে খেলার পরেও চাকরি পাননি এই ক্রিকেটার। তিনি বিভিন্ন জায়গায় টুর্নামেন্টে খেলে যাচ্ছেন। তাঁর স্থায়ী রোজগার নেই। সব ক্রিকেটারকেই একদিন অবসর নিতে হয়। খেলা ছাড়ার পর কী করবেন, সে কথা ভেবেই আশঙ্কিত মুন্না।
আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার জটেশ্বর হাইস্কুলে পড়াশোনা করার পর শিলিগুড়ি গভর্নমেন্ট পলিটেকনিকে পড়াশোনা করেন মুন্না। তিনি ফালাকাটা থেকে শিলিগুড়িতে আসার পর নিয়মিত ক্রিকেট খেলতে থাকেন। ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে নজর কাড়ার পর প্রথমে বাংলা দল এবং তারপর ভারতীয় দলে সুযোগ পান মুন্না। তিনি এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি নেপাল (Nepal), ভুটানেও (Bhutan) খেলতে যাচ্ছেন। কিন্তু ভারতের বধির ক্রিকেটারদের সংগঠন (India Cricket Association of the Deaf) বিসিসিআই-এর (BCCI) কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পায় না। ফলে মুন্নাদের মতো ক্রিকেটারদের রোজগার অনিশ্চিত।
মুন্নার বাবা মাধব সরকার একটি বেসরকারি কোচিং সেন্টারের নিরাপত্তারক্ষী। মূলত তাঁর সামান্য রোজগারেই কোনওরকমে সংসার চলছে। মুন্নার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত। অর্থের অভাবে তাঁর চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে পরিবারের কথা ভেবে চাকরি চাইছেন মুন্না। মায়ের পাশে দাঁড়ানোই এখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।