শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান। তার পরই মাঠে বাবরের আচরণ এবং ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন প্রাক্তন বহু পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। তাঁর সঙ্গে দলের সকলের বনিবনা নেই বলেও জানা যায়।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান। তার পরই মাঠে বাবরের আচরণ এবং ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন প্রাক্তন বহু পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। তাঁর সঙ্গে দলের সকলের বনিবনা নেই বলেও জানা যায়। পারফর্ম্যান্সের কারণে সহ-অধিনায়ক শাদাব খানকে আর পদে রাখতে নারাজ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তার জায়গায় এই দায়িত্ব সামলাতে পারেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
ব্যাটে-বলে এশিয়ার কাপে তেমন কোনও ছাপ ফেলতে পারেননি শাদাব। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে উইকেট পাননি, রানও করতে পারেননি খুব বেশি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও তাঁকে নেহাত সাদামাটা দেখিয়েছে। পারফর্ম্যান্সের কারণে তাঁকে বিশ্বকাপের দল থেকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে খবর। দলের অন্যতম সেরা পেসার শাহিনের উপর ভরসা রাখতে চাইছেন নির্বাচকরা। এই সিদধান্ত নিলে অধিনায়ক বাবর আজমের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হবে। কারণ সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হারার পর ড্রেসিংরুমে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন শাহিন এবং বাবর। সেই ভিডিও সামনে এসেছে।
পাকিস্তানের এক টিভি চ্যানেলের দাবি, শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর সাজঘরে ফিরে বাবর গোটা দলের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেখানে নাম না করে কিছু ক্রিকেটারের উদ্দেশ্যে তাঁদের পারফরম্যান্স বাড়ানোর কথা বলেন। বাকিরা চুপ করে থাকলেও শাহিন থেমে থাকেননি। তিনি বাবরকে বলেন, যাঁরা ভাল ব্যাট এবং বল করেছেন তাঁদের অন্তত প্রশংসা করতে। কথার মাঝখানে শাহিন থামিয়ে দেওয়ায় খুশি হননি বাবর। তিনি পাল্টা বলেন, দলের কারা ভাল খেলেছে তিনি জানেন।
শাহিনও পাল্টা জবাব দেন। তার পরই শুরু হয়ে যায় তীব্র ঝগড়া। কয়েক ক্রিকেটার এবং কোচ এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। কিন্তু রিপোর্ট পৌঁছে যায় বোর্ড কর্তাদের কানে। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের মধ্যে মনোমালিন্য থাকলে দল ভালো খেলবে কী ভাবে? সূত্রের খবর, বাবরের সঙ্গে অনেকেরই দূরত্ব তৈরি হয়েছে, যা দলের পক্ষে মোটেই ভালো নয়।