
Pakistan Cricket Board's Corruption: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন বিভিন্ন স্টেডিয়ামে ক্রিকেটার, আম্পায়ার ও দর্শকদের নিরাপত্তার জন্য যে পুলিশকর্মীরা মোতায়েন ছিলেন, তাঁদের খাওয়ানোর জন্য খরচ হয়েছে পাকিস্তানের মুদ্রায় ৬ কোটি টাকারও বেশি। অর্থের অভাবে যখন ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলিতে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের উপরেও চাপ তৈরি করা হচ্ছে, তখন এভাবে অর্থের অপচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অডিটর জেনারেল অফ পাকিস্তান (Auditor General of Pakistan)। পুলিশকর্মীদের বিরিয়ানি-সহ নানা ধরনের খাবার খাওয়ানো হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষী, যে দেশে যত বেশি আর্থিক সমস্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সে দেশে তত বেশি দুর্নীতি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (Pakistan Cricket Board) কার্যকলাপেও ঠিক সেটাই দেখা যাচ্ছে। ক্রিকেটের মান বাড়ানোর জন্য কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। উল্টে নিজেদের পকেট ভরানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন পিসিবি কর্তারা। অডিটে প্রচুর অনিয়ম ধরা পড়েছে। তবে পিসিবি কর্তারা পাকিস্তান সরকারের ঘনিষ্ঠ। ফলে অনিয়মের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি, স্বজনপোষণ হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ডিরেক্টর অফ মিডিয়া হিসেবে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়। প্রতি মাসে তাঁর বেতন ছিল পাকিস্তানের মুদ্রায় ৯ লক্ষ টাকা। যেদিন এই নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, সেদিনই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যায়। এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অডিটর জেনারেল। করাচিতে অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের জন্য তিনজন কোচকে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রেও কোনও নিয়ম মানা হয়নি। এই তিন কোচের বেতন হিসেবে পাকিস্তানের মুদ্রায় ৫৪ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়। এই সব নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ।
পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি (Mohsin Naqvi) পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী (Interior Minister)। তিনি মন্ত্রী হিসেবে সবরকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। তারপরেও বিভিন্ন ব্যক্তিগত খরচ, পেট্রোল, বাড়ি ভাড়া বাবদ পিসিবি-র কাছ থেকে ৪১.৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। পিসিবি চেয়ারম্যানের এই আর্থিক সুবিধা পাওয়া নিয়েও অডিটে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।