২০১৬ সালের পর ২০২২, ফের টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনালে হেরে ভারতের অভিযান শেষ হয়ে গেল। মেলবোর্নে ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান লড়াই হচ্ছে না।
জসপ্রীত বুমরার না থাকাটাই কি বড় ফ্যাক্টর হয়ে গেল? টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের হারের পর এই প্রশ্নটাই বড় হয়ে দেখা দিল। এই প্রতিযোগিতায় কোনও ম্যাচেই অবশ্য ভারতের বোলিংকে ভয়ঙ্কর মনে হয়নি। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে লিটন দাস ভুবনেশ্বর কুমার, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের সীমাবদ্ধতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন। বৃষ্টির জন্য ম্যাচ সাময়িক বন্ধ হয়ে গিয়ে লিটনের ছন্দ নষ্ট না হয়ে গেলে হয়তো সেই ম্যাচ জেতা ভারতের পক্ষে কঠিন হত। সেই ম্যাচও ছিল অ্যাডিলেড ওভালে। ভারত-ইংল্যান্ড সেমি ফাইনালও হল একই মাঠে। দেখা গেল, ভারতের বোলাররা অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেননি। শুরু থেকেই অনায়াসে একের পর এক বড় শট খেলে গেলেন জস বাটলার, অ্যালেক্স হেলস। ভারতের কোনও বোলারই তাঁদের থামাতে পারলেন না। ফলে ১৬৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৬ ওভারেই ১০ উইকেটে জয় তুলে নিল ইংল্যান্ড।
টি-২০ ফর্ম্যাটে ১৬৮ রান একেবারে খারাপ নয়। এটা লড়াই করার মতো স্কোর। তবে এই স্কোরের পর ম্যাচ জিততে হলে বোলারদের ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে হয়। ভারতের বোলাররা সেটা করতে পারলেন না। ফলে ভারতকে ম্যাচ হেরে টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হল। ৮ বছর পর ফের এই প্রতিযোগিতার সেমি ফাইনালে হেরে গেল ভারত।
এদিন হেলস ৮৬ ও বাটলার ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন। হেলস ৪টি বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কা মারেন। বাটলারের ইনিংসে ছিল ৯টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা। ১৬ ওভারে ১৭০ রান করা কোনও পর্যায়ের ক্রিকেটেই সহজ নয়। এই পরিসংখ্যানই ভারতের বোলারদের অসহায় অবস্থা স্পষ্ট করে দিয়েছে।
গত টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হেরে গিয়েছিল ভারতীয় দল। সেদিনও বোলারদের অসহায় অবস্থা প্রকট হয়ে গিয়েছিল। এদিনও একই হাল হল। কিছুদিন আগেও ভারতের পেস বোলিং আক্রমণকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বলা হচ্ছিল। কিন্তু চোটের জন্য বুমরা খেলতে না পারাতেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে এত বছর ধরে ভুবনেশ্বর, শামিরা কী করছেন? দুই স্পিনার অশ্বিন ও অক্ষর প্যাটেল এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে খুব খারাপ খেললেন। তরুণ বাঁ হাতি পেসার আর্শদীপ ভাল বোলিং করেছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও তিনি খারাপ পারফরম্যান্স দেখাননি। ২ ওভার বল করে দিয়েছেন ১৫ রান। শামি যেখানে ৩ ওভার বল করে দিলেন ৩৯ রান, সেখানে আর্শদীপকে দিয়ে কেন আরও বোলিং করানো হল না, সেটা বোঝা গেল না। বোলিং, ফিল্ডিংয়ের মতোই রোহিত শর্মার অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন-
বারবার বেছে নেন বড় মঞ্চ, টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনালেও অসাধারণ ইনিংস হার্দিক পান্ডিয়ার
নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছে গেল পাকিস্তান
বাবর, রিজওয়ানের চওড়া ব্যাটে সহজ জয়, ১৩ বছর পর টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে পাকিস্তান