২০১০ সালের পর ২০২২, ফের টি-২০ ফর্ম্যাটে বিশ্বসেরা ইংল্যান্ড। রবিবার মেলবোর্নে ফাইনালে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল জস বাটলারের দল।
২০১৯ সালে নিজেদের দেশে ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক ছিলেন বেন স্টোকস। ৩ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালেও নায়ক হয়ে গেলেন স্টোকস। তাঁর লড়াকু ইনিংসের সুবাদে সহজেই পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে একইসঙ্গে ওডিআই এবং টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির গড়ল ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের করা ৮ উইকেটে ১৩৭ রান সহজেই টপকে গেল ইংল্যান্ড। পাকিস্তান লড়াই করছিল। কিন্তু স্টোকস ও মইন আলির জুটি ম্যাচ বের করে নিয়ে চলে গেল। ২০১০ সালে প্রথমবার টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। তার ১২ বছর পর ক্রিকেটের এই ফর্ম্যাটে ফের চ্যাম্পিয়ন হল ইংরেজরা। এই প্রতিযোগিতার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়ে ট্রফি জিতলেন জস বাটলার, স্যাম কারানরা। পাকিস্তান কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পেয়ে সেমি ফাইনালে ওঠে। তারপর নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশায় ছিলেন বাবর আজমরা। কিন্তু ইংল্যান্ডের দক্ষতার কাছে হার মানতে হল তাঁদের। ১৯ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিল ইংল্যান্ড।
টি-২০ ফর্ম্যাটে ১৩৮ রানের টার্গেট বড় কিছু নয়। ফলে অনেকেই আশা করেছিলেন, সহজেই জিতে যাবে ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রথম ওভারেই সেমি ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে অসাধারণ ইনিংস খেলা অ্যালেক্স হেলসকে (১) ফিরিয়ে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সেই সময় মনে হচ্ছিল লড়াই করবে পাকিস্তান। এরপর অবশ্য দ্বিতীয় ওভারে নাসিম শাহের বলে ১৪ রান হয়। এই ওভারে তিনটি বাউন্ডারি মারেন জস বাটলার ও ফিল সল্ট। তবে সল্ট বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। তিনি ১০ রান করেই হ্যারিস রউফের বলে ইফতিকার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান। ৩২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর ক্রিজে আসেন বেন স্টোকস। কিন্তু এই জুটি জমে ওঠার আগেই ১৭ বলে ২৬ রান করে রউফের বলে মহম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান বাটলার। ৬ ওভারের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ৪৯ রানে ৩ উইকেট। এরপর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সাবধানে ব্যাটিং করতে থাকেন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুক। ক্রিজে টিকে থাকার উপর জোর দেন তাঁরা। ১০ ওভারের শেষে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৭৭। শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য় দরকার ছিল ৬১ রান।
ব্রুক ২৩ বলে ২০ রান করে শাদাব খানের বলে আফ্রিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান। ৮৪ রানে ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর ক্রিজে আসেন মইন আলি। ১৫ ওভারের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৯৭। ১৬-তম ওভারে বল করতে আসেন আফ্রিদি। কিন্তু প্রথম বলের পরেই চোট পেয়ে বেরিয়ে যান তিনি। ওভারটি শেষ করেন ইফতিকার। এই ওভারটাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। স্টোকস ও মইন ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে দেন। মইন ১৯ রান করে মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের বলে বোল্ড হয়ে গেলেও, স্টোকস ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন। এটাই আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে প্রথম অর্ধশতরান। বড় মঞ্চেই তিনি নিজের সেরা খেলা দেখালেন।
পাকিস্তানের হয়ে ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রউফ। ১ উইকেট করে নেন আফ্রিদি, শাদাব খান, ওয়াসিম। ভাল বল করলেও উইকেট পাননি নাসিম শাহ।
আরও পড়ুন-
জন্মদিনের পার্টিতে দুর্ঘটনা, পা ভেঙে ৩ মাস মাঠের বাইরে ম্যাক্সওয়েল
আইপিএল ২০২৩: গুজরাট টাইটানস থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সে লকি ফার্গুসন
আইসিসি ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান নির্বাচিত জয় শাহ