
টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপে (T-20 Cricket World Cup 2024) দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) কাছে হার। আর তারপরই উঠে গেল আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন। রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ (Bangladesh) জাতীয় দলের ক্রিকেটার তোহিদ হৃদয় (Towhid Hridoy)।
উল্লেখ্য, সোমবার টি-২০ বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ১১৩ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ থেমে যায় মাত্র ১০৯ রানে। কার্যত যাকে বলে তীরে এসে তরী ডোবা। মাত্র চার রানে হার বাংলাদেশের। আর ম্যাচের ১৭ তম ওভারে, মাহমুদুল্লার (Mahmudullah) প্যাডে বল লেগে সেটি বাউন্ডারিতে চলে যায়।
কিন্তু বল বাউন্ডারিতে পৌঁছনোর আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনে সাড়া দিয়ে আউটের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। ফলে, আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী বাউন্ডারি হওয়ার আগেই বল ডেড হয়ে যায়। আর এই সিদ্ধান্তেই খুশি নন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।
বাংলাদেশ ব্যাটার তোহিদ হৃদয় রীতিমতো প্রশ্ন তুলে দিলেন আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে। তিনি বলছেন, “আম্পায়ারের ওই সিদ্ধান্তটি আমাদের জন্য একদমই ভালো ছিল না। খেলা খুব হাড্ডাহাড্ডি হচ্ছিল। আম্পায়ার আউট দেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে গেছিল। কারণ, ওই বলে চার রান হলে ম্যাচের ফলাফল পুরো ঘুরে যেতে পারত। তবে এখন আর এই বিষয়ে কিছুই বলার নেই।”
হৃদয় নিজের আউট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি এলবিডব্লিউ (LBW) হন এই ম্যাচে। বল তাঁর প্যাডে এসে লাগার পর, প্রোটিয়া বোলার কাগিসো রাবাডা (Kagiso Rabada) ছাড়া আর কেউই সেইসময় আবেদন করেননি। রাবাডাও যে খুব জোর দিয়ে আবেদন করেছিলেন এমনটাও নয়। কিন্তু আম্পায়ার সঙ্গে সঙ্গে আউট দিয়ে দেন। তোহিদ হৃদয় রিভিউ নেওয়ার পর দেখা যায় যে, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের কারণেই আউট হয়েছেন তিনি।
তাঁর কথায়, “আইসিসি-র নিয়ম তো আর আমার বা আমাদের হাতে নেই। মাহমুদুল্লার সময় ওই চার রান ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের জন্য। আম্পায়ার তাঁর সিদ্ধান্ত জানাতেই পারেন। আসলে তাদেরও ভুল হতে পারে। কারণ, তারাও তো দিনের শেষে মানুষ। তবে আমাদের ব্যাটিং-এর সময়েও দুই থেকে তিনটে ওয়াইড দেননি আম্পায়ার।”
সবমিলিয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারের পর আম্পায়ারিং নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ দল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।