ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক থাকাকালীন তৎকালীন কোচ অনিল কুম্বলের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান বিরাট কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেটে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল সেই ঘটনা। এবার সে ব্যাপারে মুখ খুললেন বীরেন্দ্র সেহবাগ।
৬ বছর আগে যখন ভারতীয় দলের তৎকালীন প্রধান কোচ অনিল কুম্বলের সঙ্গে সেই সময়ের অধিনায়ক বিরাট কোহলির ঝামেলা তুঙ্গে উঠেছিল, সেই সময় প্রাক্তন সতীর্থ বীরেন্দ্র সেহবাগকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিরাট। এমনই জানালেন স্বয়ং সেহবাগ। তিনি জানিয়েছেন, বিসিসিআই-এর তৎকালীন সচিব অমিতাভ চৌধুরীর সঙ্গে তিনি আলোচনাতেও বসেছিলেন। বিসিসিআই সচিব তাঁকে বলেছিলেন, বিরাট ও কুম্বলের বনিবনা হচ্ছে না। তাঁদের পক্ষে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। ২০১৬ সালের জুনে ভারতের কোচ হন কুম্বলে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ভারতের হারের পরেই পদত্যাগ করেন কুম্বলে। তাঁর সঙ্গে বিরাটের মতপার্থক্যের জন্যই সেহবাগকে ভারতের প্রধান কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। শেষপর্যন্ত অবশ্য ভারতীয় দলের কোচ হওয়া হয়নি সেহবাগের। কুম্বলে সরে যাওয়ার পর ভারতীয় দলের প্রধান কোচের পদে ফেরেন বিরাটের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রবি শাস্ত্রী।
সেই ঘটনা প্রসঙ্গে সেহবাগ বলেছেন, ‘বিরাট কোহলি ও তৎকালীন বিসিসিআই সচিব অমিতাভ চৌধুরী প্রস্তাব না দিলে আমি ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য আবেদন জানাতাম না। আমাদের একটি বৈঠক হয়েছিল। বিসিসিআই সচিব আমাকে বলেন, আমরা চাই আপনি ভারতীয় দলের কোচ হন। বিরাট কোহলি ও অনিল কুম্বলের সম্পর্ক ভালো নেই। তাঁরা একসঙ্গে কাজ করতে পারছেন না। বিসিসিআই সচিব আমাকে আরও বলেন, ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরেই কুম্বলের সঙ্গে বিসিসিআই-এর চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। তারপর আপনি দলের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যেতে পারেন।’
ভারতীয় দলের হয়ে কয়েকটি ম্যাচে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলেছেন। তবে পাকাপাকিভাবে কোনওদিনই জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পাননি সেহবাগ। এর জন্য কি তাঁর কিছুটা আক্ষেপ আছে? এই প্রাক্তন বিস্ফোরক ওপেনার বলেছেন, ‘আমার কোনও আফশোস বা আক্ষেপ নেই। আমি যা অর্জন করতে পেরেছি তাতে খুশি। নজফগড়ের একটি সাধারণ কৃষক পরিবার থেকে উঠে এসে আমি ভারতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছি। ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছ থেকে ভালোবাসা ও স্বীকৃতি পেয়েছি। আমি ভারতের অধিনায়ক হলে একইরকম শ্রদ্ধা পেতাম।’
২০০৭ সালে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ ও ২০১১ সালে ওডিআই বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন সেহবাগ। তিনি ম্যাচ উইনার ছিলেন। অনেক ম্যাচেই ভারতীয় দলকে জিতিয়েছেন এই তারকা। খেলা ছাড়ার পরেও তাঁর জনপ্রিয়তা অটুট।
আরও পড়ুন-
বুধবার চেন্নাইয়ে তৃতীয় ওডিআই ম্যাচ, ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে চিন্তায় ভারত
পাকিস্তানে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে ভারতের আশঙ্কার কারণ নেই, দাবি আফ্রিদির
পরিবারের সঙ্গে ইজরায়েলে গিয়েছিলেন সচিন, ছবি ও ভিডিও দেখে উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরা