
বুধবার ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের নির্বাচন পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। তবে টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচের আগেই কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নিল মারাকানা স্টেডিয়াম। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় চরমে পৌঁছল উত্তেজনা। ঘটনার প্রতিবাদে স্টেডিয়াম ছাড়লেন লিওনেসল মেসি। খেলা শুরুর আগেই দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সাক্ষী থাকল রিও ডি জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়াম। ঘটনার প্রতিবাদে সতীর্থদের নিয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান মেসি। যার জেরে ৩০ মিনিট স্থগিত রাখা হয় খেলা।
বুধবার ভোর ৬টা থেকে ছিল বহু প্রত্যাশিত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার খেলা। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচের জন্য মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের দুই শক্তিশালী দেশ। সূচি অনুযায়ীই নিজের নিজের দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। কিন্তু এরপরই সমস্যার সূত্রপাত হয়। স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকা দু’দেশের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সংঘর্ষ ক্রমে ভয়াবহ দিকে যেতে থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিলার্জ করে পুলিশ। ঘটনায় রীতিমত হতবাক হন দু’দেশের ফুটবলাররাই। স্থানীয় পুলিশ আর্জেন্টিনার সমর্থকদের লাঠিপেটা করতে শুরু করে। ঘটনায় আহত হয় দু'দলের বহু সমর্থক। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সেই সমস্ত ছবি ও ভিডিও।
আর্জেন্টিনার সমর্থকদের পুলিশ লাঠিপেটা করছে দেখে আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মেসিকে। এরপরেই ঘটনার প্রতিবাদে সতীর্থদের নিয়ে মাঠ ছাড়েন মেসি। মাঠ ছাড়ার সময় মেসি বলেন,'আমরা খেলব না। আমরা বেরিয়ে যাচ্ছি।' এরপর প্রায় আধ ঘন্টা পর্যন্ত স্থগিত থাকে খেলা। অনেকেই মনে করেছিলেন ম্যাচ বাতিল হতে পারে। অবশেষে ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ ম্যাচ শুরু হয়। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয়লাভ করে ববিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। খেলা শুরুর ৬৩ মিনিটের মাথায় গোল করেন নিকোলাস ওটামেন্ডি। ৮১ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখেন ব্রাজিলের জোলিন্টন। ফলত বাকি সময় ১০ জনেই খেলতে হয় ব্রাজিলকে।