জমজমাট কলকাতা লিগ (Calcutta Football League)। রবিবার, ব্যারাকপুরের বিভূতিভূষণ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ইস্টবেঙ্গল বনাম টালিগঞ্জ অগ্রগামী (East Bengal vs Tollygunge Agragami)। এই ম্যাচে ৭-১ গোলে বড় জয় লাল হলুদের।
জমজমাট কলকাতা লিগ (Calcutta Football League)। রবিবার, ব্যারাকপুরের বিভূতিভূষণ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ইস্টবেঙ্গল বনাম টালিগঞ্জ অগ্রগামী (East Bengal vs Tollygunge Agragami)। এই ম্যাচে ৭-১ গোলে বড় জয় লাল হলুদের।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে কলকাতা ফুটবলের এই মেগা প্রতিযোগিতা। প্রথম ম্যাচেই জয় পেয়েছে মহামেডান স্পোর্টিং ফুটবল দল (Mohammedan Sporting Club)। এবার লিগে মোট ২৬টি দল অংশগ্রহণ করছে। দুটি গ্রুপে ভাগ করে খেলাগুলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গ্রুপ এ-তে রয়েছে মহামেডান স্পোর্টিং, ডায়মন্ড হারবার এফসি, খিদিরপুর, বিএসএস স্পোর্টিং ক্লাব, কালীঘাট মিলন সংঘ, এরিয়ান, আর্মি রেড, নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘ, সাদার্ন সমিতি, মেসার্স ক্লাব, ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব, উয়াড়ি এবং পাঠচক্র।
অন্যদিকে, গ্রুপ বি-তে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, ভবানীপুর এফসি, পিয়ারলেস, ক্যালকাটা কাস্টমস, পুলিশ এসি, রেইনবো এফসি, কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশন, রেলওয়ে এফসি, জর্জ টেলিগ্রাফ, ক্যালকাটা পুলিশ ক্লাব, ইস্টার্ন রেলওয়ে, টালিগঞ্জ অগ্রগামী।
সেই গ্রুপ বি-র ম্যাচেই রবিবার দুপুর ৩টেয়, মুখোমুখি হয় ইস্টবেঙ্গল বনাম টালিগঞ্জ অগ্রগামী। খেলার শুরু থেকেই প্রাধান্য বজায় ছিল লাল হলুদের। জেসিন টিকে (Jesin TK), মহম্মদ রোশ্ল (Muhammed Roshal) এবং আমান (Aman CK) বেশ ভালো খেলেন গোটা ম্যাচে। সেইসঙ্গে, পুরো ম্যাচেই দুর্দান্ত গোলকিপিং করেন আদিত্য পাত্র (Aditya Patra)। যদিও খুব বেশি পরীক্ষার সামনে পড়তে হয়নি তাঁকে।
অন্যদিকে, লাল হলুদের মিডফিল্ডার তন্ময় দাসের (Tanmay Das) কথা বলতেই হয়। বরাবর তিনি চাপ তৈরি করে গেছেন বিপক্ষ রক্ষণভাগের (Defence) ওপর।
আর সেই সুবাদেই, ম্যাচে লিড নেয় ইস্টবেঙ্গল। খেলার ১২ মিনিটেই, শ্যামল বেসরার (Shyamal Besra) গোলে এগিয়ে যায় লাল হলুদ ব্রিগেড। তবে সেখানেই শেষ নয়। গোটা ম্যাচে পেনিট্রেশন বজায় রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। তার ফল মেলে হাতেনাতে। খেলার ৪৩ মিনিটে, ফের গোল। এবার আমান সিকে। তাঁর গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় লাল হলুদ ব্রিগেড।
শেষপর্যন্ত, প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-০ ফলাফল নিয়ে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা হলেও খেলায় ফিরে আসে টালিগঞ্জ। তাদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন সঞ্জয় শর্মা (Sanjay Sharma)। ম্যাচের ফলাফল দাঁড়ায় ২-১। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল যেন আজকে জয়ের জন্যই মাঠে নেমেছিল। খেলার ৬৫ মিনিটে, পেনাল্টি বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করার অপরাধে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে পেনাল্টি দেন রেফারি।
সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন জেসিন টিকে। তার কয়েক মুহূর্ত বাদে আবার গোল করেন তিনি। জেসিনের জোড়া গোলের সুবাদে, ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)।
এরপর পরিবর্ত হিসেবে নেমে খেলার ৭৯ মিনিটে, গোল করে টালিগঞ্জের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন বঙ্গ তনয় সুব্রত মুর্মূ (Subrata Murmu)। তারপরই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যায় টালিগঞ্জ। কিন্তু তখনও লাল হলুদ ম্যাজিক শেষ হয়নি।
খেলার একেবারে শেষদিকে আরও দুটি গোল হয়। পরিবর্ত হিসেবে নামা অনন্থু এবং সায়ন ব্যানার্জি, দুজনেই একটি করে গোল করেন দলের হয়ে। কার্যত, লাল হলুদ ঝড় বলা চলে। একটা সময়, টালিগঞ্জ অগ্রগামীর ডিফেন্স বলে আর কিছু ছিল না।
শেষপর্যন্ত, ৭-১ ব্যবধানে টালিগঞ্জ অগ্রগামীকে হারিয়ে কলকাতা লিগের শুরুতেই বড় জয় পেল ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুনঃ
আক্রমণে ঝড় তুলতে তিনি চলে এলেন লাল হলুদে, ময়দান কাঁপাবে ইস্টবেঙ্গল?
শক্তি বৃদ্ধি লাল হলুদ ডিফেন্সের, এই দুই ফুটবলারের সঙ্গে এবার চুক্তি বাড়াল ইস্টবেঙ্গল
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।