রবিবার ডুরান্ড কাপে কলকাতা ডার্বি। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ম্যাচ ঘিরে ফুটবল মহলে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দুই দলের সমর্থকদেরই আশা, তাঁদের প্রিয় দল জয় পাবে।
মঙ্গলবার সরকারিভাবে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। শুক্রবার প্রথমবার লাল-হলুদের অনুশীলনে যোগ দিলেন আনোয়ার আলি। এই ডিফেন্ডারকে ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছে ইস্টবেঙ্গল শিবির। জাতীয় দলের এই তারকা ডিফেন্ডার পাঁচ বছরের জন্য লাল-হলুদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। চলতি মরসুমের প্রথম ম্যাচ থেকেই নিয়মিত গোল হজম করছে ইস্টবেঙ্গল। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু প্রিলিমিনারি স্টেজের ম্যাচে এফসি অলটিন আসিরের বিরুদ্ধে লালচুংনুঙ্গা, মহম্মদ রাকিপরা একেবারেই ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। রক্ষণের ভুলেই তিন গোল হজম করতে হয় কার্লেস কুয়াদ্রাতের দলকে। এই কারণে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আনোয়ারকে মাঠে দেখতে চাইছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
রবিবার খেলতে পারবেন আনোয়ার?
রবিবার সন্ধেবেলা বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের কলকাতা ডার্বিতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের মুখোমুখি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচের মাধ্যমেই লাল-হলুদ জার্সি পরে অভিষেক হতে পারে আনোয়ারের। এই ডিফেন্ডার খেলার মতো অবস্থায় আছেন কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন কুয়াদ্রাত। তিনি শনিবারও অনুশীলনে আনোয়ারকে দেখে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। ফিট থাকলে আনোয়ারকে মাঠে নামিয়ে দিতে পারেন লাল-হলুদের প্রধান কোচ।
রবিবার জিততেই হবে ইস্টবেঙ্গলকে
চলতি ডুরান্ড কাপে গ্রুপের শীর্ষে থেকে সরাসরি নক-আউটের যোগ্যতা অর্জন করতে হলে রবিবার মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে জিততেই হবে ইস্টবেঙ্গলকে। কারণ, গোলপার্থক্যে এগিয়ে থাকায় এখন গ্রুপের শীর্ষে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। রবিবার কলকাতা ডার্বি ড্র হলে সরাসরি নক-আউটের যোগ্যতা অর্জন করবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। তখন ইস্টবেঙ্গলকে অন্য গ্রুপগুলির ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। ৬ গ্রুপের সেরা দলগুলি এবং সব গ্রুপ মিলিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেরা ২ দল নক-আউটের যোগ্যতা অর্জন করবে। ফলে কলকাতা ডার্বির আগে চাপে ইস্টবেঙ্গল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টুয়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের প্রতিপক্ষ কারা?
সকাল ১১টায় শুরু কলকাতা ডার্বির টিকিট বিক্রি, রাত জেগে লাইনে সমর্থকরা
শুক্রবার অফলাইন টিকিট বিক্রি শুরু, রবিবার কলকাতা ডার্বিতে আর জি করের প্রভাব পড়ছে?