আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ফাইনাল। শনিবার, কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুখোমুখি মোহনবাগান বনাম নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড (Mohun Bagan vs North East United)।
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ফাইনাল। শনিবার, কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুখোমুখি মোহনবাগান বনাম নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড (Mohun Bagan vs North East United)।
আর এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামার আগে যথেষ্ট সতর্ক সবুজ মেরুন হেডস্যার জোসে মোলিনা (Jose Francisco Molina)। শনিবার সকালে ফের একবার সবাইকে দেখে নিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে পারেন তিনি। এরপর শেষ প্র্যাকটিসে ফুটবলারদের ফিটনেস বিচার করেই প্রথম একাদশ ঠিক করবেন মোলিনা।
ওদিকে চোট কাটিয়ে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই খেলার মতো জায়গায় পৌঁছে গেছেন অধিনায়ক শুভাশিস বোস। আগেরদিনও অবশ্য প্র্যাকটিসে দেখা যায় শুভাশিসকে।
এই কথা বাস্তব যে, গতবারের ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়নরা এবারের ফাইনালেও হট ফেভারিট হিসেবেই খেলতে নামছে। অন্যদিকে, নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড প্রথমবারের জন্য ডুরান্ড ফাইনাল খেলতে নামবে। সেখানে ঘরের মাঠে স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকের সামনে খেলার সুযোগ রয়েছে কামিংসদের সামনে।
অন্যদিকে, ম্যাচের আগেরদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মোহনবাগান কোচ জানান, “একবার মাঠে নামলে ১১ জনের বিরুদ্ধে ১১ জনের খেলা। সেখানে মাঠের বাইরে কী হচ্ছে, সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। তখন প্রতিপক্ষ ১১ জনের বিরুদ্ধে আমাদের ১১ জন কীরকম খেলছে সেটাই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নিজেদের সেইভাবেই তৈরি করছি। যাতে নর্থ ইস্টকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পারি।”
সেইসঙ্গে, তিনি যোগ করেন, “আপনারা নিশ্চয়ই জানতে চাইবেন যে, বিশাল জাতীয় দলে নেই কেন? আমি অন্য কোচের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে আমার মতে গোলকিপার পজিশনে বিশালই এইমুহূর্তে এক নম্বর।”
এমনিতেই অনুশীলনে ফুটবলারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ডিফেন্সিভ কম্বিনেশনের বিভিন্নরকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে দেখা গিয়েছে মোহনবাগান কোচকে। অপরদিকে গত মরশুমে সেইরকম কোনও বড় সাফল্য পায়নি নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। তবে এবার সেই দলে বেশ কিছু পরিবর্তনও করেছে তারা।
সবথেকে বড় বিষয়, চলতি ডুরান্ডে ডিফেন্সকে বেশ শক্তিশালী করে উইং দিয়ে লাগাতার আক্রমণে উঠে এসেছে নর্থ ইস্ট। নিঃসন্দেহে সেদিকে নজর রাখবেন মোলিনাও।
তাই অনুশীলনে উইং-প্লে বরাবর আক্রমণ তুলে আনার পাশাপাশি বিপক্ষকে রুখে দেওয়ার কৌশলও দলকে শেখালেন মোহনবাগান হেডস্যার। একটি বিষয় পরিষ্কার যে, দলের রক্ষণ কিছুটা দুর্বল। ফলে, ফরোয়ার্ডদের দিয়েই ডিফেন্সিভ স্ক্রিনের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকানোর প্রাথমিক পরিকল্পনা করছেন তিনি।
তাছাড়া সেট-পিসও প্র্যাকটিস করলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস এবং মনবীর সিংরা। সবমিলিয়ে, ফাইনালে নামার আগে যেন আরও আত্মবিশ্বাসী সবুজ মেরুন ব্রিগেড এবং অবশ্যই মোলিনা নিজেও।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।