ফুটবলকে পাকাপাকিভাবে বিদায় জানালেন ময়দানের 'বাজপাখি' বললেন, 'সম্মানের সঙ্গে বিদায়'

ফুটবলকে পাকাপাকিভাবে বিদায় জানালেন শিল্টন পাল (Shilton Paul)। মছলন্দপুরের সেই ছেলে, যিনি হয়ে উঠলেন মোহনবাগানের (Mohun Bagan) ‘বাজপাখি’।

ফুটবলকে পাকাপাকিভাবে বিদায় জানালেন শিল্টন পাল (Shilton Paul)। মছলন্দপুরের সেই ছেলে, যিনি হয়ে উঠলেন মোহনবাগানের (Mohun Bagan) ‘বাজপাখি’।

অবশেষে গ্লাভসজোড়া একেবারে তুলে রেখে দিলেন শিল্টন। এখন তাঁর বয়স ৩৬। বলা হয়, গোলকিপারদের বয়স বাড়লে নাকি তাদের খেলা আরও সুমধুর হয়ে ওঠে। এখনও হয়ত তাঁর মধ্যে ফুটবল কিছুটা বেঁচে ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত, রেইনবো এফসির জার্সি গায়ে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন শিল্টন।

Latest Videos

সেই টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে শুরু হয়েছিল তাঁর যাত্রা। কিন্তু ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা তিনি কাটিয়েছেন মোহনবাগানেই। শিল্টন বলছেন, “সদ্য ফুটবল থেকে আমি অবসর নিয়েছি। ঠিক এইমুহূর্তেই স্মৃতি ঘেঁটে সব সেরা মুহূর্ত খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রথমেই যে কথাটা মাথায় আসে, তা হল মোহনবাগানের অধিনায়ক হিসেবে আই লিগ জয়। তারপরই আসবে আই লিগের সেরা গোলকিপার হওয়া। এই দুটি মুহূর্ত সারাজীবন আমি উপভোগ করব।”

সালটা ২০০৬। প্রথম সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে চাপান শিল্টন। আর তারপর থেকেই ক্রমশ মোহনবাগানের ঘরের ছেলে হয়ে ওঠেন তিনি। যাকে বলা হত রক্ষণের শেষ প্রহরী, বিশ্বস্ত ‘বাজপাখি’। গত ২০১৪-১৫ মরশুমে অধিনায়কের আর্মব্যান্ডও পড়েন তিনি।।

তবে শুধু বাংলায় নয়, খেলেছেন রাজ্যের বাইরেও। আই লিগের ক্লাব গোয়ার চার্চিল ব্রাদার্স ছাড়াও আইএসএলে চেন্নাইয়ান এফসি, এটিকে এবং কেরালা ব্লাস্টার্স দলেও ছিলেন তিনি। গত ২০২০ সালে ভবানীপুর ক্লাবের হয়েও ভরসা জুগিয়েছেন তিনি।

নিজের ক্যারিয়ারে জিতেছেন অসংখ্য ট্রফি। মোহনবাগানের হয়ে আই লিগ, কলকাতা ফুটবল লিগ, ফেডারেশন কাপের শিরোপা পর্যন্ত রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। আর ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেললেন রেইনবোর জার্সিতে। কিন্তু ভক্তদের কাছে তিনি আজও মোহনবাগানের ‘ঘরের ছেলে’ নামেই পরিচিত।

শিল্টনের কথায় “আমার কাছে সেই আক্ষেপ নেই যে, মোহনবাগান থেকেই অবসর নিতে পারলাম না। আসলে ময়দান থেকে কোনও কিছু পাওয়ার আশা আমি করি না। কখনও কোনও বিতর্কে জড়াতেও চাই না। ফুটবলের বাইরে আমার নিজের জগতেই ভালো আছি।”

তাঁর মতে, “ভারতীয় ফুটবলে এখন নতুন ফুটবলার তুলে আনার দিকেই আমার নজর রয়েছে। ফলে, এখন শুধু গুণমানকেই মানদণ্ড দেখা হয় না। তবে অভিজ্ঞ ফুটবলার থাকলে সেটা দলেরই কাজে লাগে। আরও ২ বছর হয়ত খেলতে পারতাম। কিন্তু নিজের সেরা ফর্মে থাকাকালীন সম্মানের সঙ্গেই সরে যেতে চেয়েছি।”

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!

Latest Videos

দেখা যাক ২৬-এর মসনদ কার দখলে যায়? Mamata-কে চ্যালেঞ্জ Agnimitra-র
'আমি বলছি, আমার নাম করে লিখে রাখুন' ঝাঁঝিয়ে উঠে যা বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
তন্ত্রযোগ? নাকি বৌমা ও ছেলেকে শিক্ষা দিতেই...আটক দাদু, ঠাকুমা ও জেঠিমা | Hooghly News Today
'ভোট ব্যাঙ্কের জন্য Mamata রোহিঙ্গাদের হিন্দুদের জমি দিচ্ছে' বিস্ফোরক অভিযোগ Agnimitra-র
Live | India vs Australia : পারথে সাড়ে তিন দিনে টেস্ট জয়, বিদেশের মাটিতে ভারতের সেরা সাফল্য?