
ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) নতুন কোচ অস্কার ব্রুজো (Oscar Bruzon Barreras)। মঙ্গলবার, সরকারিভাবে সেই কথা জানিয়ে দিল লাল হলুদ ব্রিগেড।
চলতি মরশুমে তিনি ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আপাতত এই স্প্যানিশ কোচের সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হল, ইস্টবেঙ্গলকে জয়ের সরণীতে ফিরিয়ে আনা।
তিনি এর আগে বসুন্ধরা কিংস দলের কোচ ছিলেন। এছাড়া ভারতের মাটিতে মুম্বই সিটি এফসি এবং স্পোর্টিং ক্লাব দ্য গোয়া দলের দায়িত্বেও ছিলেন অস্কার ব্রুজো। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ভীষণভাবেই চাইছেন যে, আগামী ১৯ অক্টোবর অর্থাৎ ডার্বি ম্যাচের দিনই অস্কার ব্রুজোকে লাল হলুদ রিজার্ভ বেঞ্চে বসাতে। কিন্তু পরিস্থিতি যা, তাতে এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে সেই কথা একদমই বলা সম্ভব নয়। কারণ, মূল সমস্যা তৈরি রয়েছে ওয়ার্কিং ভিসা নিয়ে।
তাই যদি কোনওভাবেই ডার্বির আগে তিনি এসে পৌঁছতে না পারেন, তাহলে ফের একবার বিনো জর্জের কোচিংয়েই খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। প্রসঙ্গত, কার্লোস কুয়াদ্রাত সরে যেতেই একাধিক কোচের নাম নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায়। কে ছিল না সেই তালিকাতে?
বেঙ্গালুরু এফসির প্রাক্তন কোচ তথা সুপার কাপ এবং ফেডারেশন কাপ জয়ী হেড স্যার অ্যালবার্ট রোকা থেকে শুরু করে কেরালা ব্লাস্টার্সের প্রাক্তন কোচ ইভান ভুকোমানোভিচ কিংবা বেঙ্গালুরুর আরেক প্রাক্তন কোচ সিমন গ্রেসন থেকে শুরু করে আই লিগ জয়ী পাঞ্জাব এফসি কোচ স্টাইকোস ভার্গেটিস, একাধিক নাম উঠে আসে।
তবে সবার মাঝে আরও একটি নাম কিন্তু সামনে আসে। আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। ভারতীয় ফুটবলে অন্যতম সফল একজন আইএসএল জয়ী কোচ। যদিও তিনি বর্তমানে ইন্টার কাশির দায়িত্বে। সূত্রের খবর, তাঁকেও অফার করেছিল ইস্টবেঙ্গল।
কিন্তু তিনি রাজি হননি। ফলে, সবাইকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যান অস্কার ব্রুজেো। শেষপর্যন্ত, দুজন কোচের নাম শর্টলিস্ট করা হয় ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে। তারা হলেন অস্কার ব্রুজো এবং অ্যালবার্ট রোকা।
কিন্তু রোকা আবার শুধু কোচিং করতে চান না। এই মুহূর্তে তাঁর বেশি আগ্রহ টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করার দিকেই। ফলে, রোকাকে বাদ দিয়ে চূড়ান্ত করা হয় অস্কার ব্রুজোর নাম। আর এরপর মঙ্গলবার, রাতে ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে হেড কোচ হিসেবে সরকারিভাবে অস্কার ব্রুজোর নাম ঘোষণা করে দেওয়া হল। অর্থাৎ, ব্রুজো সই করলেন লাল হলুদে।
অন্যদিকে, লাল হলদের কোচ হওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন, “আমি আত্মবিশ্বাসী। আমরা এখন একেবারে আইএসএল-এর মাঝামাঝি জায়গায় রয়েছি। তাছাড়া আমাদের নজরে রয়েছে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগও। কঠোর অনুশীলন এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমেই ছেলেদের সাফল্য এনে দিতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।”
ব্রুজোর কথায়, “ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা অসাধারণ। আমি অভিভূত, লাল হলুদ পরিবারের সদস্য হতে পেরে। এই ভালোবাসাই ফিরিয়ে দিতে চাই ইস্টবেঙ্গল ফ্যানদের।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।