মাঠ এবং মাঠের বাইরে, দুই মঞ্চেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সেই লাল হলুদ। ইস্টবেঙ্গলে তাহলে শেষ হতে চলেছে কল্যাণ যুগ? অন্তত খবর সেইরকমই।
মাঠ এবং মাঠের বাইরে, দুই মঞ্চেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সেই লাল হলুদ। ইস্টবেঙ্গলে তাহলে শেষ হতে চলেছে কল্যাণ যুগ? অন্তত খবর সেইরকমই।
গত মরশুমে সুপার কাপ (Super Cup) জয় ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ফাইনালে উঠলেও হেরে যেতে হয় মোহনবাগানের (Mohun Bagan) কাছে। কিন্তু মাঠের বাইরে, ক্লাব প্রশাসন চালানোর লড়াইটা কিন্তু পুরো অন্যরকম।
এবার লাল হলুদের সচিব পদ থেকে অব্যহতি দিতে চলেছেন কল্যাণ মজুমদার (Kalyan Majumdar)। দীর্ঘ দু-দশকের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। দলের বহু ভালো এবং খারাপ সময়ের সাক্ষী তিনি। ক্লাব কর্তা হিসেবে জিতেছেন একাধিক ট্রফি। চিরপ্রতিদ্বন্দী মোহনবাগানকে হারিয়েছেন বহুবার। সচিবের হটসিটে থেকে সামলেছেন একাধিক গুরুদায়িত্ব। সেইসঙ্গে, ময়দানের বিতর্কিত এবং ঠোঁটকাটা চরিত্র হিসেবেই বেশি পরিচিত কল্যাণ মজুমদার।
অবশেষে ফুটবল ময়দানের সঙ্গে ছিন্ন হতে চলেছে তাঁর সম্পর্ক। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন তিনি। তাই এবার লাল হলুদের সচিব পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চলেছেন কল্যাণ মজুমদার। গত ২০০২ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সচিব পদের দায়িত্বে এসেছিলেন কল্যাণ মজুমদার। এই পদে আসার পরই ঐতিহাসিক আশিয়ান কাপ জেতে ইস্টবেঙ্গল।
কোচ ছিলেন প্রয়াত সুভাষ ভৌমিক (Late Subhash Bhowmick), ওরফে ময়দানের ভোম্বলদা। কল্যাণবাবু সচিব থাকাকালানীই এএফসি কাপের সেমিফাইনাল খেলেছিলেন জেমস মোগা, উগা ওপারা, লালরিন্ডিকা রালতেরা। অবশেষে সচিব পদাধিকারী হিসেবে সমাপ্তি হতে চলেছে কল্যাণ অধ্যায়ের।
শোনা যাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নতুন সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন রূপক সাহা (Rupak Saha)। এই মূহূর্তে তিনি লাল হলুদের সহসচিব পদে থাকলেও, সচিবের দায়িত্বও কার্যত তিনিই পালন করে চলেছেন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সব বৈঠকেই শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের (Debabrata Sarkar) সঙ্গে থাকেন রূপকবাবু।
উল্লেখ্য, বয়সের দিক দিয়ে কল্যাণ মজুমদারের থেকে অনেকটাই ছোট তিনি। কিন্তু দলের স্বার্থের কথা ভেবে তাঁকেই সচিব হিসেবে বেছে নিতে চাইছে লাল হলুদ। নির্বাচনের পরই দায়িত্ব নিতে পারেন তিনি।
যদিও এইবছর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নির্বাচনে, বিরোধী গোষ্ঠী কোনও প্রার্থী দেয়নি। ফলে, বিনা প্রতিদ্বন্দিতাতেই শাসক গোষ্ঠীর প্রার্থীরা জিততে চলেছেন। তবে কে কোন পদে বসছেন, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত। শুধু সচিব পদে কল্যাণ মজুমদারই নন, সভাপতি পদ থেকে ডঃ প্রণব দাশগুপ্তও সরে দাঁড়াতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।
প্রায় তিন দশক ধরে ক্লাবের সভাপতি পদে দায়িত্বে থাকার পর, নিজে থেকেই সরে দাঁড়াতে চলেছেন তিনি। যদিও ক্লাবের শীর্ষকর্তারা চাইছেন তাঁকে বুঝিয়ে রাজি করাতে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা কম। তিনি যদি সরে যান, তাহলে এই পদে আসতে পারেন মুরারীলাল লোহিয়া।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।