দু'বছর আগে ২৫ নভেম্বর বিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি ফিয়েছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র দিয়েগো মারাদোনা। দিয়েগো নেই, তবু প্রয়াণ দিবসে দিয়েগোর আর্জেন্টিনার সাফল্যকামনায় ফের ফুটবলের ঈশ্বরের কাছেই প্রার্থণা করছে গোটা দেশ।
রবিবারই মেক্সিকোর বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে নামতে চলেছে আর্জেন্টিনা। এই আগে সৌদি আরবের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে হারের পর এই ম্যাচের দিকেই তাকিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা আর্জেন্টিনা সমর্থকরা। প্রিয় দল ও লিও-র জন্য প্রার্থনা করতে ফের একবার 'ঈশ্বর'-এর স্বরনাপন্ন হলেন আর্জেন্টিনীয়রা। দু'বছর আগে ২৫ নভেম্বর বিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি ফিয়েছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র দিয়েগো মারাদোনা। দিয়েগো নেই, তবু প্রয়াণ দিবসে দিয়েগোর আর্জেন্টিনার সাফল্যকামনায় ফের ফুটবলের ঈশ্বরের কাছেই প্রার্থণা করছে গোটা দেশ। তাঁদের বিশ্বাস দিয়েগো নিশ্চই মেসিদের সাফল্য কামনায় প্রার্থনা করবেন। ঈশ্বরের প্রার্থনা তো ব্যার্থ হয় না। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ফুলে ফুলে ঢেকে গিয়েছে বেসা ভিস্তা। ২৫ নভেম্বর মানেই এক অলিখিত শোক আর্জেন্টিনা জুড়ে। উপরোন্ত মাঠে প্রিয় দলের মরণ বাঁচন লড়াই। মরুদেশের নীল-সাদা দলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এখন দিয়েগোই ভরসা সকলের।
মারাদোনা নেই তা মানেননা আর্জেন্টিনাবাসী, তাঁদের মতে 'ঈশ্বরের মৃত্যু হয় না।' কিন্তু যেন শোক কিছুতেই পুছি ছাড়েনা। একদিকে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মেসিদের হার। তাঁর উপর দিয়েগোর মৃত্যু দিবস। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগেই আত্মবিশ্বাসে বেশখনিকটা আঘাত লেগেছে নীল-সাদা সমর্থকদের। এরইমধ্যে মেট্রো স্টেশনে ব্রাজিল ও মেক্সিকো সমর্থকদের গলায়,'মেসি চাও' ধ্বনি আরও যেন দমিয়ে দিয়েছে লিও সমর্থকদের। এই অবস্থায় প্রার্থনার একমাত্র জায়গা দিয়েগো মারাদনা। মেসির ছবি হাতে নিয়ে দিয়েগোর সমাধির সামনে প্রার্থনা করতে দেখা গেল সমর্থদের। তাঁদের বিশ্বাস মারাদোনা নিশ্চয় লিওদের সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করবেন। কিংবদন্তির অদৃশ্য উপস্থিতিই পারে আর্জেন্টিনাকে এই সংকট থেকে ফিরিয়ে উদ্ধার করতে।
প্রসঙ্গত, ১-২ ব্যবধানে সৌদি আরবের কাছে হার আর্জেন্টিনার। এই ফল যেন দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি মেসিরা। শুধু আর্জেন্টিনা দল নয়। গোটা বিশ্বের কাছেও এই ফলাফল শুধু অপ্রত্যাশিতই নয়, অবাক করাও। ম্যাচের পর থেকেই থমথমে পরিবেশ আর্জেন্টিনা শিবিরে। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর ম্যাচের পর থেকেই আর একেঅপরের সঙ্গে কথা বলেননি খেলোয়াড়রা। স্টেডিয়ামের টানেল দিয়ে বেরোনোর সময়ও বিশেষ কথা বলেননি কেউ। এক ঘন্টা থমথমে মুখে বসে ছিলেন লুসাইল স্টেডিয়ামের সাজঘরে। শুধু বাসে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সামনে মেসি বলেন,'আমরা মারা গিয়েছি। তিন পয়েন্টের আশায় মাঠে নেমেছিলাম। এই ভাবে হারতে হবে ভাবতে পারিনি। সামনে যা আসবে সব কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। জিততে আমাদের হবেই।'
আরও পড়ুন -
প্রথম ম্যাচেই গোড়ালিতে চোট পেলেন নেইমার, পরের ম্যাচগুলিতে কি আদৌ দেখা যাবে তাঁকে? আশঙ্কায় সমর্থকরা
রিচার্লিসনের জোড়া গোল, বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়াকে উড়িয়ে দিল ব্রাজিল