সংক্ষিপ্ত

গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় নেইমারকে। চোট এতটাই গুরুতর যে পা ধরে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন ব্রাজিল অধিনায়ক। চোখে জলও আসে। বেঞ্চে বসে কোনও মতে পায়ে বরফ দিতে দেখা যায় তাঁকে।

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ব্রাজিল সুলভ ফুটবল। ২-০ ব্যবধানে সার্বিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের দৌঁড় শুরু করল ব্রাজিল। শুরুটা দূরন্ত হলেও প্রথম ম্যাচেই দুর্ঘটনা। গোড়ালিতে চোচ পেয়ে মাঠ ছাড়তে হল নেইমারকে। চোট এতটাই গুরুতর যে যন্ত্রণায় চোখে জল চলে আগে ব্রাজিলীয় ফুটবলার নেইমারের। তবে বিশ্বকাপের পরবর্তী ম্যাচগুলিতে আর দেখা যাবে না নেইমারকে? আশঙ্কায় হাজার হাজার সমর্থক। তবে এবিষয় বিশেষ আশঙ্কা প্রকাশ করেননি কোচ তিতে। তাঁর মতে পরের ম্যাচে অবশ্যই খেলতে পারবেন নেইমার।

 শুরু থেকেই সার্বিয়ার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন হলুদ জার্সিধারীরা। প্রথম ম্যাচ থেকেই ব্রাজিল সুলভ ফুটবলই দেখা গেল বিশ্বকাপের ময়দানে। ২-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিলেন নেইমাররা। কিন্তু বিপত্তি হল ম্যাচের ৮০ মিনিটের মাথায়। গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় নেইমারকে। চোট এতটাই গুরুতর যে পা ধরে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন ব্রাজিল অধিনায়ক। চোখে জলও আসে। বেঞ্চে বসে কোনও মতে পায়ে বরফ দিতে দেখা যায় তাঁকে। এই অবস্থায় বিশ্বকাপের পরের ম্যাচগুলিতে নেইমারকে দেখা যাবে কি না সেই বিষয় বেশ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। যদিও নেইমারের বিষয় বেশ আত্মবিশ্বাসী কোচ তিতে। তিনি স্পষ্টই বলেছেন, 'ওঁর ক্ষমতা আছে চোট সারিয়ে ফেরার।' তিনি আরও বলেন, 'নেইমারের খেলার বিষয় আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। বিশ্বকাপে অবশ্যই খেলতে দেখা যাবে ওঁকে।' তিতে এও জানিয়েছেন যে প্রথমটায় নেইমারের চোটের বিষয়টা বুঝতেই পারেননি তিনি। এবার চোট সারিয়ে নেইমারের মাঠে ফেরার দিকেই তাকিয়ে ব্রাজিল সমর্থকরা।

১৯৭০ সালের পর দীর্ঘদিন বিশ্বকাপ জিততে পারেনি ব্রাজিল। তারপর ১৯৯৪ সালে ফের ট্রফি আসে এই ফুটবল অন্ত প্রাণ এই দেশের হাতে। তারপর ফের দু'দশকের বিরতী। বিশ্বকাপে নেই ব্রাজিল। কাতারের মাঠে এবার কি খরা কাটবে? সেইদিকেই তাকিয়ে ব্রাজিল সমর্থকরা। আজ ফের একবার মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামতে চলেছে ব্রাজিল। সমর্থকদের চোখ এখন তারকা ফরোয়ার্ড নেমারের উপরই। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের আগে ক্লাবের হয়ে দূরন্ত ফর্মে ছিলেন নেইমার। অন্যদিকে এই বিশ্বকাপেই শেষ হতে চলেছে ব্রাজিলের সঙ্গে তিতের যাত্রা। টানা ছ'বছর ধরে ব্রাজিলের দায়িত্ব সামলানোর পর এবার ইতি টানতে চলেছেন তিতে। ২০১৬ সাল থেকে ব্রাজিলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। শেষ ম্যাচে জিতেই কোচকে বিদায় জানাতে চায় দল। তিতের আমলে দলের হয়ে বেশ কিছু চমকপ্রদ সাফল্য এলেও বিশ্বকাপ জেতা হয়নি। এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেই তিতেকে বিদায় জানাতে চায় ব্রাজিল। এই প্রসঙ্গে রিচার্লিসন বললেন,'তিতে আমাদের বাবার মতো স্নেহ করেন। ওঁ সবসময় আমাদের অনুপ্রাণিত করে, তবে প্রয়োজনে সত্যিটা তুলে ধরতেও পিছপা হন না। ওঁ সবসময় জাতীয় দলে আমাদের সকলকে স্বাগত জানিয়েছেন। আমাদের সাহসী ফুটবল খেলা শিখিয়েছেন। এটাই তিতের শেষ বিশ্বকাপ। ওঁর মুখে হাসি ফোটাতে সবটা উজার করে দেব। ওঁর জন্যই বেশি করে বিশ্বকাপ জিততে চাই।'