সংক্ষিপ্ত
প্রত্যাশামতোই জয় দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ব্রাজিল। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে পূর্ণ আধিপত্য নিয়ে খেলল ব্রাজিল। এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারলে এবার অনেকদূর যাবে তিতের দল।
একপেশে ম্যাচ, অসাধারণ ফুটবল, চোখধাঁধানো গোল। ব্রাজিল-সার্বিয়া ম্যাচ বিশ্লেষণ করতে গেলে এগুলি বলতেই হবে। কাতারে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মাঠে নামার অপেক্ষায় ছিলেন সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা। ব্রাজিল মাঠে নামল, খেলল, অনায়াসে ২-০ গোলে জয় পেল। সবচেয়ে বড় কথা, প্রাক্তন কোচ দুঙ্গার আমলে যে স্বাভাবিক আক্রমণাত্মক ফুটবল হারিয়ে গিয়েছিল, সেটা তিতের হাত ধরে ফিরে এসেছে। মাঠে ফের ফুল ফোটাচ্ছেন নেইমার, রিচার্লিসন, ভিনিসিয়াস জুনিয়ররা। 'জোগো বোনিতো' ফিরে এসেছে। ব্রাজিলের কাছ থেকে তো এই ফুটবলই দেখতে চান ফুটবলপ্রেমীরা। রিচার্লিসনের দ্বিতীয় গোল পুরনো ব্রাজিলের প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিল। এই ব্রাজিল কিন্তু ভয়ঙ্কর। তিতের দলের মূলমন্ত্র আক্রমণ। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাজিলের আক্রমণ ছাড়া আর কিছু দেখা যায়নি। এত একপেশে ম্যাচ এবারের বিশ্বকাপে খুব কমই হয়েছে। কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলে হারিয়েছে স্পেন। সেই ম্যাচ একপেশে হয়েছিল। এদিন ব্রাজিল-সার্বিয়া ম্যাচও তেমনই হল। ব্রাজিলের জয়ের ব্যবধান বাড়তেই পারত। অসংখ্য সুযোগ নষ্ট হল। পোস্ট-বারও বাধা হয়ে দাঁড়াল। তবে ব্যবধান যাই হোক না কেন, ব্রাজিলের খেলা সবার মন জয় করল।
এই ম্যাচের আগে অনেক প্রাক্তন ফুটবলারই সার্বিয়াকে শক্তিশালী দল বলে উল্লেখ করেছিলেন। তাঁদের মত ছিল, ব্রাজিলের সঙ্গে লড়াই করবে সার্বিয়া। এমনকী, এবারের বিশ্বকাপে সার্বিয়া অনেকদূর যাবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু ব্রাজিলের বিরুদ্ধে দেখা গেল, সার্বিয়াকে প্রায় ৯০ মিনিট ধরেই রক্ষণ সামলাতে হল। ব্রাজিলের গোলকিপারকে সেভাবে বলই ধরতে হল না। সাত-আটের দশকে শোনা যেত, ব্রাজিলের রক্ষণ বলে কিছু নেই। দলের সবাই আক্রমণে যান। এই ব্রাজিল দল যেন সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এদিন ব্রাজিল মাত্র ২ গোলে জয় পেল, কিন্তু ব্যবধান ৭-৮ গোলের হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত সার্বিয়ার রক্ষণে সুনামির মতো আছড়ে পড়ছিল ব্রাজিলের আক্রমণ। থিয়াগো সিলভারা বেশিরভাগ সময়ই সেন্টার সার্কেলের কাছে উঠে আসছিলেন। ব্রাজিলের ৭-৮ জন ফুটবলার আক্রমণে উঠছিলেন আর সার্বিয়ার ১০ জন ফুটবলার রক্ষণ সামলানোর চেষ্টা করছিলেন। অনেক সময় পায়ের জঙ্গলে আটকে যাচ্ছিল ব্রাজিলের আক্রমণ।
প্রথমার্ধে অনেক চেষ্টা করেও গোল দিতে পারেনি ব্রাজিল। ৬২ মিনিটে প্রথম গোল করে দলকে স্বস্তি এনে দেন রিচার্লিসন। এরপর ৭৩ মিনিটে সাইড ভলিতে অসাধারণ গোল। ৫৯ মিনিটে স্যান্দ্রোর দূরপাল্লার শট পোস্টে লাগে। ৮১ মিনিটে ক্যাসেমিরোর শট বারে লেগে ফিরে আসে। না হলে ব্যবধান বাড়ত।
আরও পড়ুন-
প্রথম ফুটবলার হিসেবে ৫ বিশ্বকাপে গোল, অনন্য নজির ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর
আমেরিকার বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন হ্যারি কেন, জানালেন ইংল্যান্ডের কোচ
জন্মভূমির টান, ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে গোল করেও উল্লাসে মাতলেন না এমবোলো