এর আগেও দু'বার ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছে ক্রোয়েশিয়া। দু'বারই ব্রাজিলের রক্ষণের সামনে হারতে হয়েছে লুকা মডরিচদের। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া দু'বারের হারের বদলা নিতে পারে কি না তা এখন সময়ের অপেক্ষা।
১৭তম বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নামছে ব্রাজিল। চলতি বিশ্বকাপে শুরু থেকেই দূরন্ত ফর্মে তিতের দল। শেষ ষোলোয়ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে দূরন্ত পারফর্ম্যান্সের পর এবার শেষ আটের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত নেইমাররা। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি ক্রোয়েশিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার থেকে ধারে ভারে যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। তবে ইতিহাস নেইমারদেরই পক্ষে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে ২ বার মুখোমুখি হয়েছে এই ২ দল। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল ব্রাজিল। এরপর ২০১৪ সালে নিজেদের দেশে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে লুকা মডরিচদের ৩-১ গোলে উড়িয়ে দেন নেইমাররা। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের 'অপরাজিত' রেকর্ড ক্রোয়েশিয়া ভাঙতে পারে কি না সেটাই এখন দেখার।
এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ৪টি ম্যাচ খেলে ৭ গোল করেছে ব্রাজিল। গোল খেয়েছে দু'টি। একমাত্র ক্যামারুনের বিরুদ্ধে হার বাদ দিলে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও ব্রাজিল সঠিক অর্থেই সুন্দর ফুটবলের নজির রেখেছে। এবার কোয়ার্টার ফাইনালেও আক্রমনই হাতিয়ার তিতের দলের।
১৯৯৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছিল ক্রোয়েশিয়া। ২০২০ সাল থেকে ২০টিরও বেশি ম্যাচে জয়ী হয়েছে এই দল। শেষ ১০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচেও অপরাজিত এই দল। এর আগেও দু'বার ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছে ক্রোয়েশিয়া। দু'বারই ব্রাজিলের রক্ষণের সামনে হারতে হয়েছে লুকা মডরিচদের। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া দু'বারের হারের বদলা নিতে পারে কি না তা এখন সময়ের অপেক্ষা।
দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে ব্রাজিল। এই ম্যাচে অবশেষে খেলতে দেখা গেল নেইমারকে। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নেইমার জানান,'রাতের পর কেঁদেছি। আমার যা যা জানাছিল সমস্ত চেষ্টা করেছি। অবসশেষে তাঁর দাম পেয়েছি। প্রত্যেকদিন ভোর ৫-৬ পর্যন্ত ফিজিওথেরাপি চলত। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নামার দিনও বেলা ১১ টা পর্যন্ত ফিজিওথেরাপি চলেছে।' তিনি আরও বলেন,'খুবই ভয় ছিলাম। চোট পাওয়ার পর এতগুলো দিন পড়ে ফিরছি। আমি যখন আঘাত পেলাম সেই সময় অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল, ভয়, সন্দেহ, অনিশ্চিয়তা। কিন্তু আমার পরিবার ও সতীর্থদের কাছ থেকে যে সাহায্য পেয়েছি তা বলে বোঝানো যায়না। প্রত্যেকদিন সমর্থকরা শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। এগুলোই আমাকে শক্তি দিয়েছে। এবার এই বিশ্বকাপে দলকে জেতাতে আমি আমার প্রাণ দিয়ে খেলব। এটাই আমার লক্ষ্য।'
আরও পড়ুন -
'আমি ভারতকে সমর্থন করি', কাতারে ভারতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে ঘুরছেন আর্জেন্টিনীয় তরুণী, কিন্তু কেন?
কাতার বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জের, সরিয়ে দেওয়া হল স্পেনের কোচ লুই এনরিকেকে