ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগেই উদ্বেগ বাড়ল ব্রাজিল শিবিরে। চোটের জন্য শেষ আটের ম্যাচে নাও খেলতে পারেন ব্রাজিলের নির্ভরযোগ্য ফুটবলার অ্যালেক্স সান্ড্রো। তবে নেইমার, ডানিলোরা ফিট হয়ে ফেরায় খানিকটা স্বস্তিতে তিতের দল।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগেই ফের অনিশ্চিত ব্রাজিলের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগেই উদ্বেগ বাড়ল ব্রাজিল শিবিরে। চোটের জন্য শেষ আটের ম্যাচে নাও খেলতে পারেন ব্রাজিলের নির্ভরযোগ্য ফুটবলার অ্যালেক্স সান্ড্রো। তবে নেইমার, ডানিলোরা ফিট হয়ে ফেরায় খানিকটা স্বস্তিতে তিতের দল। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে যে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে তা আন্দাজ করতে পারছেন ব্রাজিলীয় ফুটবলাররা। যদিও জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী নেইমার। তবে দলের গুরুত্বপূর্ণ লেফট ব্যাক অ্যালেক্স সান্ড্রোর চোটই চিন্তা বাড়িয়েছে তিতের।
সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমে চোট পান সান্ড্রো। খেলা শুরু হওয়ার ৮৬ মিনিটের মাথায় বাঁ পায়ের পেশিতে চোট লাগায় মাঠ ছাড়তে হয় সান্ড্রোকে। এতদিন চিকিৎসাধীন থাকার পরও সারেনি চোট। ফলে গত ম্যাচের মতো শেষ আটেও সান্ড্রোর খেলার সম্ভাবনা নেই। ব্রাজিল কোচ তিতে জানিয়েছেন,'সান্ড্রোর চোটের ধরণটা একটু আলাদা। আরও সময় লাগবে। ওঁর যা পরিস্থিতি তাতে, খেলার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। ফিজিওথেরাপি করা হচ্ছে। আমি ম্যাচের কয়েক ঘন্টা আগে পর্যন্তও অপেক্ষা করব।'
দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে ব্রাজিল। এই ম্যাচে অবশেষে খেলতে দেখা গেল নেইমারকে। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নেইমার জানান,'রাতের পর কেঁদেছি। আমার যা যা জানাছিল সমস্ত চেষ্টা করেছি। অবসশেষে তাঁর দাম পেয়েছি। প্রত্যেকদিন ভোর ৫-৬ পর্যন্ত ফিজিওথেরাপি চলত। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নামার দিনও বেলা ১১ টা পর্যন্ত ফিজিওথেরাপি চলেছে।' তিনি আরও বলেন,'খুবই ভয় ছিলাম। চোট পাওয়ার পর এতগুলো দিন পড়ে ফিরছি। আমি যখন আঘাত পেলাম সেই সময় অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল, ভয়, সন্দেহ, অনিশ্চিয়তা। কিন্তু আমার পরিবার ও সতীর্থদের কাছ থেকে যে সাহায্য পেয়েছি তা বলে বোঝানো যায়না। প্রত্যেকদিন সমর্থকরা শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। এগুলোই আমাকে শক্তি দিয়েছে। এবার এই বিশ্বকাপে দলকে জেতাতে আমি আমার প্রাণ দিয়ে খেলব। এটাই আমার লক্ষ্য।'
এদিন প্রথমার্ধের শেষেই ৪-০ গোলে এগিয়েছিল ব্রাজিল। ৭ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এরপর ১২ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে দলের দ্বিতীয় গোল করেন নেইমার। এটাই এবারের বিশ্বকাপে নেইমারের প্রথম গোল। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে কোনও ম্যাচের ১৩ মিনিটের মধ্যে ২ গোল করল ব্রাজিল। এর আগে ২০০২ বিশ্বকাপে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে প্রথমবার ১৩ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। এই ম্যাচে ২০ বছর আগের পুনরাবৃত্তি হল। আরও নজির গড়ল ব্রাজিল। ২৯ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন রিচার্লিসন। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপে স্পেনের বিরুদ্ধে ৩১ মিনিটের মধ্যে ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। তার চেয়েও কম সময়ে এদিন ৩ গোল করে ফেলল ব্রাজিল। এরপর ৩৬ মিনিটের মাথায় ব্রাজিলের হয়ে চতুর্থ গোল করেন লুকাস পাকুয়েতা। প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর আরও সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল, কিন্তু আর গোল হয়নি। ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথমার্ধের শেষে ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। তারপর এই প্রথম বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচে প্রথমার্ধেই ৪ গোল করল সেলেকাওরা।