শেষ বিশ্বকাপে পাখির চোখ ছিল বিশ্বকাপ জয়। লক্ষ্যভেদও করলেন। পাশাপাশি আরও একবার সেরা ফুটবলার হিসেবে গোল্ডেন বল উঠল মেসির হাতেই।
স্বপ্নপূরণের রাত কাতারে। ৩৬ বছরের যন্ত্রণা এক লহমায় মুছে দিয়ে আর্জেন্টিনার তথা গোটা বিশ্বের নীল-সাদা জার্সির সমর্থকদের মাসিহা লিওনেল মেসি। ফ্রান্সের মতো প্রতিপক্ষের সামনে রুদ্ধশ্বাস লড়াই। তবু এক মুহূর্তের জন্য হার মানেনি ওঁরা। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্যায় মরণপন লড়াইয়ের পর অবশেষে বিশ্বজয়। একটা স্বপ্নের সফর শেষ হল। ১৯৮৬ সালের পর ২০২২ সালে ফের ট্রফি হাতে নিল আর্জেন্টিনা। নিজের শেষ বিশ্বকাপের শেষটা রাজার মতোই করল স্বপ্নের নায়ক মেসি। এই বিশ্বকাপই শেষ। ২০২৬-এর বিশ্বকাপে আর খেলবেন না মেসি। জানিয়েছিলেন সেমিফাইনালের পরেই। শেষ বিশ্বকাপে পাখির চোখ ছিল বিশ্বকাপ জয়। লক্ষ্যভেদও করলেন। পাশাপাশি আরও একবার সেরা ফুটবলার হিসেবে গোল্ডেন বল উঠল মেসির হাতেই।
রাজার মতোই শেষ হল রাজার সফর। বিশ্বজয়ের রাতে মেসির হাতে ট্রফি তুলে দিলেন কাতারের রাজা। পাশাপাশি এই বিশ্বকাপে ফের একবার সেরা ফুটবলার ফিসেবে গোল্ডেন বলের সম্মানও উঠল মেসির হাতেই। এর আগে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল পেয়েছিলেন মেসি। ২০২২ সালে ফের এই সম্মান পাওয়ায় দু'টি গোল্ডেন বল প্রাপ্ত বিশ্বের প্রথম ফুটবলারের সিরোপা উঠল মেসির মাথায়। এইবারের বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট পেয়েছেন ফরাসি ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে। আর্জেন্টিনার সামনে তরুণ ফুটবলার এমবাপের লড়াই মুগ্ধ করেছে গোটা বিশ্বকে।
দেশের হয়ে কাপ জেতার এটাই শেষ সুযোগ ছিল মেসির কাছে। গত ৩৬ বছরের ইতিহাসে একের পর এক ব্যর্থতার দেখেছিল আর্জেন্টিনা। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে পরাজয়। ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠেও জার্মানির কাছে হার। ২০১০ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ। ২০০৬ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিলেন মেসি। প্রথম ম্যাচে নেমে গোলও করেছিলেন তিনি। তাঁরপর ২০১০ সালে ফের বিশ্বকাপের মঞ্চে নামেন মেসি। খেলেছিলেন প্রধান ফুটবলার হিসেবেই। তখন আর্জেন্টিনার দায়িত্বে দিয়েগো মারাদোনা। তাঁরপর মোট পাঁচটি বিশ্বকাপে মোট ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। মোট গোলসংখ্যা ১১। ষষ্ঠবারের লড়াইয়ে অবশেষে সেইসব পরাজয়ের যন্ত্রণা ভুলে জয়ের হাসি হাসল আর্জেন্টিনা।
আরও পড়ুন -
কাপ হাতে নেচে উঠলেন লিওনেল মেসি, উন্মাদনায় ফেটে পড়ল আর্জেন্টিনার জয়ের উদযাপন
হাল না ছাড়ার শিক্ষা তোমার কাছ থেকেই পেয়েছি, আবেগপ্রবণ মেসির স্ত্রী