মাত্র ১৮ বছর বয়সে জিম করতে গিয়ে দুটি হাতই ভেঙে যায় স্কেসনের। সালটা ২০০৮। জিমে ওজন তুলতে গিয়ে আচমকাই হাত ফস্কে ওজন পড়ে যায় তাঁর উপর। এই ঘটনার জেরে দুটি হাতই ভেঙে যায় পোলিশ ফুটবলারের।
আর্জেন্টিনার কাছে ২-০ ব্যবধানে হারলেও পোল্যান্ডের গোলরক্ষকের দাপটে বেশ নাজেহাল হতে হয় মেসিদের। পলিশ গোলকিপার ওয়েসেক স্কেসনের দক্ষতার সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। মেসির বাঁ পায়ের জাদুকে ব্যর্থ করে পেনাল্টিই শুধু আটকেছেন এমনটা নয়। বরং গোটা ম্যাচেই একের পর এক দক্ষ শট আটকেছেন। তা না হলে আর্জেন্টিনার কাছে হয়ত আরও অনেক ব্যবধানে হারতে হত পোল্যান্ডকে। স্কিসনের হাতের জাদুতে রীতিমত উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল আর্জেন্টিনা শিবিরে। অথচ একদিন এই হাতের জন্যই ফুটবল কেরিয়ারের ইতি হতে চলেছিল স্কেসনের।
মাত্র ১৮ বছর বয়সে জিম করতে গিয়ে দুটি হাতই ভেঙে যায় স্কেসনের। সালটা ২০০৮। জিমে ওজন তুলতে গিয়ে আচমকাই হাত ফস্কে ওজন পড়ে যায় তাঁর উপর। এই ঘটনার জেরে দুটি হাতই ভেঙে যায় পোলিশ ফুটবলারের। চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে স্কেসনে আর কোনওদিন ফুটবল খেলতে পারবেন কি না সেবিষয়ও প্রশ্ন তৈরি হয়। এরপর কেটে গিয়েছে ১৪ বছর চোট সারিয়ে ফের ফুটবলে ফিরেছে পোলিশ তারকা। বর্তমানে স্কেসনের বয়স ৩২ বছর। ছোট থেকেই ফুটবলের আবহে বড় হয়েছিলেন স্কেসনে। তাঁর বাবা মাচিজ় স্কেসনেও ছিলেন গোলরক্ষক। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও দক্ষতার সঙ্গে খেলেছেন তিনি। তাঁর ছেলে ওয়েসেক স্কেসনেও দীর্ঘদিন দক্ষতার সঙ্গে ফুটবল খেলছেন। স্কেসনে জানিয়েছেন এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ।
গত ম্যাচে একটি বাজি হয় পোলিশ গোলকিপার ওয়েসেক স্কেসনে ও আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার লিওনেল মেসির মধ্যে। ম্যাচের ৩৮ মিনিটের মাথায় একটি ফাউল করেন স্কেসনে। পোল্যান্ডের বক্সে হেড করতে যান মেসি, এমন সময়ই একটি ফাউল করেন গোলকিপার। গোটা ঘটনায় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও ভারের সাহায্যে পেনাল্টি দেয় রেফারি। ফের একবার বল সাজিয়ে তৈরি লিওনেল মেসি। ফের একবার মেসি ম্যাজিক দেখতে প্রস্তুত সকলে। কিন্তু স্কেসনের দাপটে আটকে যায় গোল। মুহূর্তে থমথমে গোটা স্টেডিয়াম। তবে গোল রুখতে পারলেও মেসির সঙ্গে বাজিতে হেরে যান স্কেসনে। তিনি জানিয়েছেন রেফারি যখন রিপ্লে দেখতে ব্যস্ত ছিলেন তখন মেসি স্কেসনের মধ্যে একশো ইউরোর বাজি হয়। স্কেসনে বলেছিলেন কিছুতেই ফাউলের জন্য পেনাল্টি দেবেন না রেফারি। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তের পর মেসির কাছে সেই বাজি হেরে যান স্কেসনে।
ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের লক্ষ্যে আক্রমণে ঝাঁপান মেসিরা। ৬ মিনিটের মাথায় বিপক্ষ গোল লক্ষ্য করে প্রথম শট নেন মেসি। যদিও সেই শটে তেমন জোর ছিল না। এরপর ৮ মিনিটের মাথায় একটি শট নেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তাঁর সেই শট একেবারেই দুর্বল ছিল। ১০ মিনিটের মাথায় ফের শট নেন মেসি। এবার সেভ করে দেন পোলিশ গোলকিপার। ১২ মিনিটের মাথায় একটি দুর্দান্ত দলগত আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা। কিন্তু সেই আক্রমণ থেকেও গোল হয়নি। ১৭ মিনিটে অ্যাকুনার উদ্দেশে বল বাড়ান মেসি। কিন্তু অ্যাকুনার শট বাইরে চলে যায়। এই ম্যাচের ৩০ মিনিটের মধ্যেই পোল্যান্ডের গোল লক্ষ্য করে ৭টি শট মারে আর্জেন্টিনা। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত কোনও দল প্রথমার্ধে বিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে এত শট মারতে পারেনি।
আরও পড়ুন -
নেইমার, ড্যানিলোকে ফিট করে তোলার লক্ষ্যে চলছে ক্রিয়োথেরাপি, ইলেকট্রোথেরাপি
পেনাল্টি রুখলেও মেসির কাছে বাজি হারলেন পোলিশ গোলরক্ষক ওয়েসেক স্কেসনে, কী বাজি ধরেছিলেন তাঁরা? জানুন
নক-আউটের মুখে দাঁড়িয়ে মেসিরা, এবার প্রিয় দলের সমর্থনে 'মেসি মিষ্টি' নিয়ে এল দুর্গাপুরের মিষ্টি দোকান