সংক্ষিপ্ত
চোটের জন্য সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি নেইমার ও ড্যানিলো। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধেও খেলবেন না তাঁরা। এই ২ ফুটবলারকে ফিট করে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
চোট সারিয়ে আবার মাঠে নামতে হবে। সেটা এবারের বিশ্বকাপেই। সেই লক্ষ্যেই তৈরি হচ্ছেন নেইমার ও ড্যানিলো। চোট সারানোর জন্য তাঁরা বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্য নিচ্ছেন। ক্রিয়োথেরাপি চেম্বারে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কাটাচ্ছেন তাঁরা। এই পদ্ধতির মাধ্যমেই তাঁরা চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার চেষ্টা করছেন। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রডরিগো ল্যাসমার চিরাচরিত ফিজিওথেরাপির পাশাপাশি ক্রিয়োথেরাপি ও ইলেকট্রোথেরাপির সাহায্যও নিচ্ছেন। দিনে ৩ বার ক্রিয়োথেরাপি চেম্বারে যাচ্ছেন নেইমার ও ড্যানিলো। গোড়ালির ফোলা ভাব কমানো এবং পেশি জড়তা দূর করাই এই চিকিৎসার প্রধান লক্ষ্য। ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে কিছুক্ষণের জন্য নেইমারকে নামানোর পরিকল্পনা করছিলেন ব্রাজিলের কোচ তিতে। কিন্তু চিকিৎসক জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। ১০০ শতাংশ ফিট হলে তবেই নেইমারেক মাঠে নামার অনুমতি দেওয়া যাবে। ফলে পরিকল্পনা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন তিতে। তিনি এখন নেইমার ও ড্যানিলোর সম্পূর্ণ ফিট হয়ে ওঠার অপেক্ষায়।
ব্রাজিলের কোচ বলেছেন, 'আমার বিশ্বাস, নেইমার ও ড্যানিলো এবারের বিশ্বকাপেই আবার মাঠে নামবে। আমি ওদের চিকিৎসার ব্যাপারে সবসময় খোঁজ নিচ্ছি। আমি যে খবর পেয়েছি, সেটা ইতিবাচক। আমার দলের এই ২ ফুটবলারের চোট অনেকটা সের গিয়েছে। ওদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আমার বিশ্বাস, ওরা ২ জনই আবার খেলতে পারবে। আমাদের রোজ উন্নতি করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। নেইমারের চোটের জন্য আমি নিজেকেই দায়ী করছি। ও যে চোট পেয়েছে, সেটা আমি খেয়াল করিনি। ও চোট নিয়েই ১০-১১ মিনিট খেলেছে। তার ফলে ওর চোট বেড়ে গিয়েছে।'
সার্বিয়ার বিরুদ্ধে গোল না পেলেও, বেশ ভাল পারফরম্যান্স দেখান নেইমার। কিন্তু সেই ম্যাচেই গোড়ালিতে চোট পান তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন, তখন দেখা যায় তাঁর গোড়ালি বেশ ফোলা। তখনই সবাই চোট নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। পরে জানা যায়, গ্রুপের আর কোনও ম্যাচ খেলতে পারবেন না নেইমার। কিন্তু নক-আউটেও এই তারকা যদি খেলতে না পারেন, তাহলে সমস্যায় পড়বে ব্রাজিল। সেই কারণেই তাঁকে মাঠে ফেরানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। একইসঙ্গে খেয়াল রাখা হচ্ছে, তিনি যেন ঝুঁকি নিয়ে মাঠে ফিরতে গিয়ে নতুন করে চোট না পান। ফিট নেইমারকেই ব্রাজিলের দরকার।
আরও পড়ুন-
পেনাল্টি রুখলেও মেসির কাছে বাজি হারলেন পোলিশ গোলরক্ষক ওয়েসেক স্কেসনে, কী বাজি ধরেছিলেন তাঁরা? জানুন
শেষ ম্যাচ না জিতলেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় জার্মানির, ড্র করলেই নক-আউটে স্পেন
মেসির পেনাল্টি মিস, পোল্যান্ডকে ২-০ হারিয়ে বিশ্বকাপের নক-আউটে আর্জেন্টিনা