'আমাকে হয়ত ব্যান করা হবে', ম্যাচ চলাকালীন মেসির সঙ্গে বাজি ধরার জেরে আশঙ্কায় পোলিশ গোলকিপার ওয়েসেক স্কেসনে

বিশ্বকাপের ময়দানে দাপটের সঙ্গে খেলার পরও থেকে যাচ্ছে আশঙ্কা। শাস্তি পেতে পারেন স্কেসনে। একটি সংমাধ্যমে প্রকাশ্যেই এই আশঙ্কার কথা জানান স্কেসনে নিজেই।

Web Desk - ANB | Published : Dec 1, 2022 2:41 PM IST

আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে দূরন্ত রক্ষণ, ২-০ ব্যবধানে হেরেও চর্চায় পোলিশ গোলকিপার ওয়েসেক স্কেসনে। স্কেসনের দস্তানার সামনে হার মেনেছে মেসির বাঁ পাও। বিশ্বকাপের ময়দানে দাপটের সঙ্গে খেলার পরও থেকে যাচ্ছে আশঙ্কা। শাস্তি পেতে পারেন স্কেসনে। একটি সংমাধ্যমে প্রকাশ্যেই এই আশঙ্কার কথা জানান স্কেসনে নিজেই। পোলিশ গোলরক্ষকের এই আশঙ্কার কারণ একটি বাজি। পোল্যান্ড ও আর্জেন্টিনার খেলা চলাকালীনই মাঠে মেসির সঙ্গে একটি বাজি ধরেছিলেন স্কেসনে। ম্যাচের ৩৮ মিনিটের মাথায় একটি ফাউল করেন স্কেসনে। পোল্যান্ডের বক্সে হেড করতে যান মেসি, এমন সময়ই একটি ফাউল করেন গোলকিপার। গোটা ঘটনায় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও ভারের সাহায্যে পেনাল্টি দেয় রেফারি। ফের একবার বল সাজিয়ে তৈরি লিওনেল মেসি। ফের একবার মেসি ম্যাজিক দেখতে প্রস্তুত সকলে। কিন্তু স্কেসনের দাপটে আটকে যায় গোল। মুহূর্তে থমথমে গোটা স্টেডিয়াম। তবে গোল রুখতে পারলেও মেসির সঙ্গে বাজিতে হেরে যান স্কেসনে। তিনি জানিয়েছেন রেফারি যখন রিপ্লে দেখতে ব্যস্ত ছিলেন তখন মেসি স্কেসনের মধ্যে একশো ইউরোর বাজি হয়। স্কেসনে বলেছিলেন কিছুতেই ফাউলের জন্য পেনাল্টি দেবেন না রেফারি। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তের পর মেসির কাছে সেই বাজি হেরে যান স্কেসনে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই ফিফার পক্ষ থেকে শাস্তি পেতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন পোল্যান্ডের গোলরক্ষক। একটি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওয়েসেক স্কেসনে জানিয়েছেন,'পেনাল্টি দেওয়ার আগে, আমি মেসির সঙ্গে এই বিষয় কথা বলেছিলাম। এও বলেছিলাম, আমি ১০০ ইউরোর বাজি ধরতে পারি পেনাল্টি দেওয়া হবেনা। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তের পর এই বাজি হেরে যাই আমি।' এরপর তিনি আরও সংযোজন করেন,'আমি জানি না এই ধরনের বাজি বিশ্বকাপের মাঠে করা যায় কি না। আমাকে হয়ত ব্যান করা হবে। যদিও এই মুহূর্তে আমি এসব নিয়ে ভাবছি না।'

ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের লক্ষ্যে আক্রমণে ঝাঁপান মেসিরা। ৬ মিনিটের মাথায় বিপক্ষ গোল লক্ষ্য করে প্রথম শট নেন মেসি। যদিও সেই শটে তেমন জোর ছিল না। এরপর ৮ মিনিটের মাথায় একটি শট নেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তাঁর সেই শট একেবারেই দুর্বল ছিল। ১০ মিনিটের মাথায় ফের শট নেন মেসি। এবার সেভ করে দেন পোলিশ গোলকিপার। ১২ মিনিটের মাথায় একটি দুর্দান্ত দলগত আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা। কিন্তু সেই আক্রমণ থেকেও গোল হয়নি। ১৭ মিনিটে অ্যাকুনার উদ্দেশে বল বাড়ান মেসি। কিন্তু অ্যাকুনার শট বাইরে চলে যায়। এই ম্যাচের ৩০ মিনিটের মধ্যেই পোল্যান্ডের গোল লক্ষ্য করে ৭টি শট মারে আর্জেন্টিনা। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত কোনও দল প্রথমার্ধে বিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে এত শট মারতে পারেনি।

আরও পড়ুন - 

মাত্র ১৮ বছরেই ভেঙে গিয়েছিল দুটি হাত, সেই হাতের দাপটেই নাজেহাল নীল-সাদা জার্সিধারীরা

নেইমার, ড্যানিলোকে ফিট করে তোলার লক্ষ্যে চলছে ক্রিয়োথেরাপি, ইলেকট্রোথেরাপি

নক-আউটের মুখে দাঁড়িয়ে মেসিরা, এবার প্রিয় দলের সমর্থনে 'মেসি মিষ্টি' নিয়ে এল দুর্গাপুরের মিষ্টি দোকান

Share this article
click me!