কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা। ৯ ডিসেম্বর ভারতীয় সময় অনুযায়ী রাত সাড়ে ১২টা থেকে শুরু ম্যাচ।
ডেনিস বার্গক্যাম্পকে কোনওদিন ভুলতে পারবেন না আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে শেষমুহূর্তে বার্গক্যাম্পের গোলেই আর্জেন্টিনার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। অসাধারণ গোল করে নেদারল্যান্ডসকে বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে তুলে নিয়ে যান বার্গক্যাম্প। সেই ম্যাচের ১২ মিনিটে প্যাট্রিক ক্লুইভার্টের গোলে এগিয়ে যায় ডাচরা। তবে বেশিক্ষণ তারা অগ্রগমন ধরে রাখতে পারেনি। ১৭ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরান ক্লদিও লোপেজ। এরপর খেলা অতিরিক্ত সময়ের দিকে গড়াচ্ছিল। ঠিক সেই সময় গোল করে ডাচদের জয় নিশ্চিত করেন বার্গক্যাম্প। সেই হারের বদলা অবশ্য নিয়েছে আর্জেন্টিনা। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েই ফাইনালে ওঠেন লিওনেল মেসিরা। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে ফের ডাচদের সঙ্গে লড়াই। ২৪ বছর পর বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস। ৮ বছর আগের মতোই এবারও জয় চান মেসিরা। মেমফিস ডিপেরা আবার ২৪ বছর আগের সেই ম্যাচের পুনরাবৃত্তির লক্ষ্যে।
সব ম্যাচ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৯ বার মুখোমুখি হয়েছে নেদারল্যান্ডস ও আর্জেন্টিনা। মেসিরা কিন্তু পরিসংখ্যানে একটু পিছিয়ে। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ৪ ম্যাচ জিতেছে নেদারল্যান্ডস। সেখানে আর্জেন্টিনার জয় ৩ ম্যাচে। ২ ম্যাচ ড্র হয়েছে। ২০১৪ সালের পর অবশ্য আর এই ২ দলের দেখা হয়নি। কাতারে কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্ব ফুটবলের মহাশক্তিধর এই ২ দলের টক্কর।
এবারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত নেদারল্যান্ডস। গ্রুপ এ থেকে শীর্ষ স্থানাধিকারী হিসেবেই নক-আউটের যোগ্যতা অর্জন করে ডাচরা। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে সেনেগালকে ২-০ উড়িয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ইকুয়েডরের সঙ্গে ১-১ ড্র। গ্রুপের শেষ ম্যাচে কাতারকে ২-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নক-আউট। তারপর শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে সহজ জয়। দুর্দান্ত ফর্মে ডাচ ফুটবলাররা। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার লড়াই সহজ হবে না।
আর্জেন্টিনাও অবশ্য প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হারের পর ছন্দ ফিরে পেয়েছে। গ্রুপের শেষ ২ ম্যাচে মেক্সিকো, পোল্যান্ডকে হারানোর পর প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিলেন মেসিরা। পরপর ৩ ম্যাচে জয় পেয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল। মেসি অসাধারণ খেলছেন ঠিকই, কিন্তু দল পুরোপুরি তাঁর উপর নির্ভরশীল নয়। বাকিরাও ভাল পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন। এটাই এই আর্জেন্টিনা দলের সবচেয়ে বড় গুণ। সেটাই কোয়ার্টার ফাইনালের আগে স্কালোনিকে ভরসা দিচ্ছে। তিনি পরের ম্যাচেও দলের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।
আরও পড়ুন-
১০০০ ম্যাচে ৭৮৯ গোল, কাতারে ট্রফির লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন অপ্রতিরোধ্য মেসি
বিশ্বকাপে গোলসংখ্যায় মারাদোনাকে টপকালেন মেসি, সহজেই কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
দ্বিতীয় দল নামিয়ে ক্যামেরুনের কাছে হার, অপরাজিত তকমা হারাল ব্রাজিল