সংক্ষিপ্ত
অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয় দিয়ে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল আর্জেন্টিনা। ফের গোল পেলেন লিওনেল মেসি। অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে জয় পেল আর্জেন্টিনা।
১৯৯০ সালের পুনরাবৃত্তি কি হবে? সেই আশা ক্রমশঃ উজ্জ্বল হচ্ছে। সেবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। এবারও হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে 'লা অ্যালবিসেলেস্তে'। কিন্তু তারপর ঘুরে দাঁড়িয়ে গ্রুপের সেরা হয়েই নক-আউটে পৌঁছে যায় লিওনেল স্কালোনির দল। নক-আউটে প্রথম প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। ধারে-ভারে আর্জেন্টিনার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার কোনও তুলনাই হয় না। এই ম্যাচের যা ফল হওয়ার সেটাই হল। সহজেই ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে নিল আর্জেন্টিনা। ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে অবশ্য সকারুজরা কিছুটা লড়াই করে। ১ গোল করে ব্যবধানও কমায় অস্ট্রেলিয়া। তবে ওই পর্যন্তই। আর্জেন্টিনাকে বিশেষ কষ্ট করে জিততে হল না। এবার শেষ আটের লড়াই। সেই লড়াইয়ের জন্য তৈরি হতে হবে নীল-সাদা জার্সিধারীদের। পরপর ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। সেই কারণে ক্লান্তি নিয়ে চিন্তিত স্কালোনি। তিনি ফুটবলারদের যতটা সম্ভব তরতাজা রাখার চেষ্টা করছেন।
সৌদি আরবের বিরুদ্ধে হারের পর কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারার জন্যও কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে। নীরবে সবকিছু শুনেছেন, মুখে কিছু বলেননি। সব জবাব যে এত বছর ধরে দিয়ে আসছে তাঁর বাঁ পা। বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও কথা বলল লিওনেল মেসির বাঁ পা। বিশ্বকাপে ৯ গোল হয়ে গেল তাঁর। বিশ্বকাপে গোলসংখ্যায় প্রয়াত দিয়েগো মারাদোনাকে ছাপিয়ে গেলেন মেসি। এবারের বিশ্বকাপেই তাঁর ৩ গোল হয়ে গেল। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন পেনাল্টি থেকে। সেদিন তাঁর দল হেরে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ফের ঝলসে ওঠে মেসির বাঁ পা। সেদিন মরণ-বাঁচন ম্যাচে জয় পায় আর্জেন্টিনা। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে গোল না পেলেও, প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ফের গোল পেলেন মেসি।
এদিন ম্যাচের ৩৫ মিনিটে মেসির গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এরপর প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। ৫৭ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন জুলিয়ান আলভারেজ। ৭৭ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার ক্রেগ গুডউইনের শট এনজো ফার্নান্ডেজের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। প্রথমে গুডউইনের গোল বলা হলেও, পরে আত্মঘাতী গোল বলে জানায় ফিফা। ব্যবধান কমানোর পর সমতা ফেরানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে সকারুজরা। কিন্তু নিকোলাস ওটামেন্ডিরা সতর্ক ছিলেন। ফলে বাকি সময়টা গোল না খেয়ে কাটিয়ে দেয় আর্জেন্টিনার রক্ষণ। মেসি-লটারো মার্টিনেজরা ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাঁদের পক্ষেও আর গোল করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন-
চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না, ফুটবল-সম্রাট পেলের শারীরিক অবস্থার অবনতি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস
দ্বিতীয় দল নামিয়ে ক্যামেরুনের কাছে হার, অপরাজিত তকমা হারাল ব্রাজিল