কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড-ফ্রান্স লড়াই। রবিবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ইউরোপের এই ২ দলই সহজ জয় পেল।
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে সেনেগালকে সহজেই ৩-০ গোলে উড়িয়ে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে খেলবেন হ্যারি কেনরা। এদিন প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে যে পারফরম্যান্স দেখাল, ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সেরকম খেলতে পারলে দুর্দান্ত ম্যাচ হবে। সেনেগালের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের হয়ে গোল করলেন জর্জান হেন্ডারসন, কেন ও বুকায়ো সাকা। প্রথমার্ধের শেষে ২-০ গোলে এগিয়েছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান সাকা। এদিন শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণে সেনেগালের রক্ষণকে চাপে ফেলে দেন ইংরেজ স্ট্রাইকাররা। ৩৮ মিনিটে প্রথম গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন হেন্ডারসন। এরপর প্রথমার্ধের শেষমুহর্তে ব্যবধান বাড়ান কেন। ৫৭ মিনিটে ইংল্যান্ডের হয়ে তৃতীয় গোল করেন সাকা। ৩ গোলে পিছিয়ে পড়ে সেনেগালের আর কিছু করার ছিল না। ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথদগেট কোয়ার্টার ফাইনালের কথা ভেবে আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সাকা, কেন, ফিল ফডেনকে তুলে নেন। দলের সেরা তারকারা যাতে চোট না পান, সেটা নিশ্চিত করাই ইংরেজ কোচের প্রধান লক্ষ্য ছিল। তিনি সেই লক্ষ্যে সফল।
এবারের বিশ্বকাপে বেশ ভাল খেলছে ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে ইরানকে ৬-২ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে ইংল্যান্ড। তবে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ওয়েলশকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় সাউথগেটের দল। এরপর প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালেও সহজ জয় এল। রাশিয়ায় গত বিশ্বকাপে চতুর্থ হয়েছিল ইংল্যান্ড। গত বছর দেশের মাটিতে ইউরো কাপে রানার্স হয়েছে সাউথগেটের দল। এবার কাতারেও অনেকদূর যেতে তৈরি ইংল্যান্ড।
এখনও পর্যন্ত একবারই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালের পর আর ট্রফি আসেনি। কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সকে হারাতে পারলে ট্রফি জয়ের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠবে ইংল্যান্ড। কেন, ফডেন, সাকা, রাহিম স্টার্লিং যেমন দলের আক্রমণভাগের ভরসা তেমনই রক্ষণকে ভরসা দিচ্ছেন হ্যারি ম্যাগুয়ার, লুক শ, জন স্টোনসরা। গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ডও দারুণ পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন। ফলে দল নিয়ে সাউথগেটের বিশেষ চিন্তা নেই। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে ফ্রান্সকে হারানো অসম্ভব নয়। ফ্রান্স অসাধারণ দল ঠিকই, কিন্তু ইংল্যান্ডও লড়াই করতে তৈরি। অতীতে যেমন অনেক ম্যাচেই এগিয়ে যাওয়ার পরেও গোল খেয়ে হেরে যেত বা ড্র করত ইংল্যান্ড, সাউথগেট কোচ হওয়ার পর থেকে সেটা আর হচ্ছে না। বদলে গিয়েছে ইংল্যান্ড দল।