অশান্ত বাংলাদেশে (Bangladesh) হামলার হাত থেকে বাদ যাচ্ছে না খেলাধূলাও। আক্রমণ নেমে এসেছে ক্রীড়াক্ষেত্রেও। ভাঙচুর চালানো হয়েছে বাংলাদেশের বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব ঢাকা আবাহনী (Dhaka Abahani Club) এবং শেখ জামাল ধানমণ্ডিতে (Sheikh Jamal Dhanmondi Club)।
অশান্ত বাংলাদেশে (Bangladesh) হামলার হাত থেকে বাদ যাচ্ছে না খেলাধূলাও (Sports)। আক্রমণ নেমে এসেছে ক্রীড়াক্ষেত্রেও। ভাঙচুর চালানো হয়েছে বাংলাদেশের বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব ঢাকা আবাহনী (Dhaka Abahani Club) এবং শেখ জামাল ধানমণ্ডিতে (Sheikh Jamal Dhanmondi Club)।
ওপার বাংলায় তীব্র আন্দোলনের জেরে পতন হয়েছে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের। কিন্তু তারপরেও উত্তাল বাংলাদেশ। একাধিক নৃশংসতার ঘটনা সামনে এসেছে। আর তার হাত থেকে বাদ যায়নি খেলাধূলাও।
সেই দেশের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (Bangladesh Cricket Board) প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন কার্যত নিখোঁজ। কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জ্বলছে তাঁর বাড়ি। সেইসঙ্গেই, ভাঙচুর চালানো হয়েছে ঢাকা আবাহনী এবং শেখ জামাল ধানমণ্ডি ফুটবল ক্লাবে।
জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাত থেকে এই দুই ক্লাবে লাগাতার ভাঙচুর চালিয়েছে হামলাকারীরা। এমনকি, কোথাও কোথাও জিনিসপত্রেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উন্মত্ত আন্দোলনকারীরা। শুধু তাই নয়, ঢাকা আবাহনী ক্লাবের ট্রফি ক্যাবিনেট পর্যন্ত লুঠ করেছে তারা।
পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, ক্লাব কর্তারা কার্যত আত্মগোপন করে আছেন। সবথেকে বড় বিষয় হল যে, ঢাকা আবাহনী এবং শেখ জামাল ধানমণ্ডি, এই দুই ক্লাব আওয়ামী লিগ তথা শেখ হাসিনা সরকারের থেকে প্রচুর অনুদান পেত। তাই এটিই জনরোষের অন্যতম প্রধান কারণ।
তবে শুধু ফুটবল ক্লাবই নয়। হামলা হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের বাড়িতেও। তিনি আবার হাসিনা সরকারের সাংসদ এবং মন্ত্রী দুইই ছিলেন। আপাতত পাপন পুরো আত্মগোপন করে আছেন। যদিও তাঁর কিশোরগঞ্জের বাড়ি ইতিমধ্যেই জ্বালিয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা।
এদিকে আবার বাংলাদেশ থেকে মহিলাদের টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ (T-20 Cricket World) সরতে চলেছে। এই অশান্ত পরিস্থিতিতে সেই দেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের কোনও ঝুঁকিই নিতে চাইছে না আইসিসি (ICC)। তাছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রশাসনই আর নেই। আপাতত অ্যাড হক কমিটি করে কাজ চালানোর চেষ্টা চলছে।
ফলে, রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি পদ্মাপারের খেলাধূলাতেও যেন অশনি সঙ্কেত দেখা যাচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।