ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তারা সরাসরি শাসক দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার করায় গড়ের মাঠে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। অনেকেই ময়দানে রাজনীতির অনুপ্রবেশের নিন্দা করছেন।
বিধায়ক থাকাকালীন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সহ-সভাপতি হয়েছিলেন। কিন্তু কোনওদিন তাঁর বিরুদ্ধে ক্লাবকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির অভিযোগ ওঠেনি। এখন নৈহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সনৎ দে-র হয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের মুখ খোলাকে একেবারেই ভালো চোখে দেখছেন না মানস মুখোপাধ্যায়। কামারহাটির প্রাক্তন বিধায়ক এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাক্তন সহ-সভাপতি মানস বলছেন, 'আমাদের সময় ক্ষিতি গোস্বামী নিয়মিত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যেতেন, খেলা দেখতে যেতেন। আমি সহ-সভাপতি হয়েছিলাম। কিন্তু ক্লাবে আমরা কোনওদিন রাজনীতি করিনি। তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী, মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু আমাদের সময় ক্লাবে কোনওদিন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগাতে হয়নি।'
ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের নিন্দায় সরব মানস
সরাসরি শাসক দলের প্রার্থীর হয়ে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তার প্রচার নিয়ে মানস বলছেন, 'ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান স্পোর্টিং সদস্য-সমর্থকদের ক্লাব। কর্মকর্তারা শাসক দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচার করার আগে কি সদস্যদের অনুমতি নিয়েছিলেন? সদস্যদের কাছে তাঁদের জবাব দেওয়া উচিত। শাসক দলের হয়ে কর্মকর্তাদের এই প্রচারের বিরোধিতা করা উচিত সদস্য-সমর্থকদের। আমি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব নিয়ে বলতে পারি, কর্মকর্তাদের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করছি। ক্লাবে রাজনীতি ঢোকানো অন্যায় হয়েছে।'
ইস্টবেঙ্গল নিয়ে ব্যথিত মানস
মানস জানিয়েছেন, '১৯৯৩ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নির্বাচনে প্রার্থী হন বিধানসভায় বামফ্রন্টের প্রাক্তন মুখ্য সচেতক শচীন সেন। তিনি যাতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে ঢুকতে না পারেন, তার জন্য আমি পল্টু দাসের গোষ্ঠীর হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হই। দল থেকে শচীন সেন ও আমাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলা হয়। আমাকে দল কোনওদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সহ-সভাপতির বেশি হওয়ার অনুমতি দেয়নি। আমাদের দল কোনওদিন ক্লাবে রাজনীতি চায়নি। ২০০৬ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিরোধের জন্য আমি বিরোধী গোষ্ঠীতে যোগ দিই। এখন যেভাবে ক্লাব চলছে, সেটা আমার খুব খারাপ লাগছে।'
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
আরজি কর কাণ্ডের মাঝেই রাজ্যে উপনির্বাচন! অ্যাসিড টেস্ট তৃণমূলের? প্রার্থী তালিকা দেখে নিন