ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি করতে হলে নিচুতলা থেকেই কাজ করতে হবে। সে কথা মাথায় রেখেই কাজ করছে প্রো ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন ডেসডে কাসা এফসি।
ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি করতে হলে সবার আগে কোচদের আধুনিক ফুটবলের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দরকার। কোচরা শিক্ষিত না হলে ভালো ফুটবলার তৈরি করা যাবে না। সেই কারণেই ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কোচ এডুকেটর পল নিয়ারিকে কোচদের শিক্ষিত করে তোলার দায়িত্ব দিল প্রো ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন ডেসডে কাসা এফসি। ডিরেক্টর হিসেবে এই দলে যোগ দিলেন পল। তিনি ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য কাজ করবেন। মূলত বালক ও কিশোরদের প্রশিক্ষণ দেন যে কোচরা, তাঁদেরই শিক্ষিত করে তোলার চেষ্টা করবেন পল। তাঁকে সেই দায়িত্বই দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির বিষয়ে আশাবাদী পল।
২০১৪ থেকে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত পল। তিনি ২০১৪ থেকে এ বছর পর্যন্ত ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ইন্টারন্যাশনাল লিড কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি আরও কয়েকটি দলের কোচ এডুকেটর হিসেবে কাজ করেছেন। এবার ভারতে কোচদের প্রশিক্ষণ দেবেন পল। কীভাবে প্রতিভাবান ফুটবলারদের খুঁজে বের করা যাবে এবং তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করা যাবে, সে বিষয়েই কোচদের প্রশিক্ষণ দেবেন পল।
ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য কাজ করছে চ্যাম্পিয়ন ডেসডে কাসা এফসি। এই কাজের অন্যতম অঙ্গ হল কোচদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোচদের প্রশিক্ষণ দেবেন পল। চ্যাম্পিয়ন ডেসডে কাসা এফসি ফুটবল অ্যানালিটিক্সের ব্যবস্থাও করছে। কিশোর ফুটবলারদের উন্নতির জন্যই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিশোর ও তরুণ ফুটবলাররা যাতে নিজেদের প্রতিভার পরিচয় দিতে পারে, তার জন্য একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মও চালু করা হচ্ছে।
বেঙ্গালুরুর একটি অ্যানালিটিক্স সংস্থা 'স্টেপ আউট' আই লিগের পেশাদার দলগুলির সঙ্গে যুক্ত। এই সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ডেসডে কাসা এফসি-র। পলের কাজে সাহায্য করবে 'স্টেপ আউট'। এ বিষয়ে এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সায়ক ঘোষ বলেছেন, ‘এই গাঁটছড়া একেবারেই আলাদা। কারণ, এর আগে কেউ ভারতে বাচ্চাদের ফুটবলের উন্নতির জন্য পেশাদার অ্যানালিটিক্সের কথা ভাবেনি। আমরা সবাই মিলে ফুটবলের উন্নতির ক্ষেত্রে কিছু অবদান রাখার চেষ্টা করছি। এআইএফএফ-এর ম্যাচ কমিশনার এবং চ্যাম্পিয়ন ডেসডে কাসা এফসি-র প্রতিষ্ঠাতা অপরূপ চক্রবর্তীই প্রথম এই ব্যবস্থা চালু করার কথা ভাবেন। আমরা ২০১৯-২০ মরসুমের এআইএফএফ বেবি লিগে প্রথমবার এই ব্যবস্থা চালু করি। এবার পল আসায় সারা দেশে এই ব্যবস্থা ছড়িয়ে দিতে চাইছি।’
আরও পড়ুন-
Mohun Bagan Super Giant: জেসন কামিংসের জোড়া গোল, মাজিয়ার বিরুদ্ধে 'জয় মোহনবাগান'
East Bengal: ক্লেইটন সিলভার জোড়া গোল, আইএসএল-এ প্রথমবার হায়দরাবাদকে হারাল ইস্টবেঙ্গল