'৫০ বছর বয়স পর্যন্ত খেলতে পারে ক্রিশ্চিয়ানো,' বার্তা বান্ধবী জর্জিনা রডরিগেজের
সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল-নাসরের হয়ে খেলছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তাঁর সঙ্গে সৌদি আরবে থেকেছেন বান্ধবী জর্জিনা রডরিগেজ। তিনি সৌদি আরবে থাকার অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন।
সৌদি আরবে অবিবাহিত দম্পতির একসঙ্গে থাকার নিয়ম না থাকলেও, জর্জিনা রডরিগেজের কোনও সমস্যা হয়নি
জর্জিনা রডরিগেজ জানিয়েছেন, যখন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো সৌদি আরবে খেলার জন্য চুক্তি পেয়েছিলেন তখন তিনি দৃশ্যের পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। ম্যাঞ্চেস্টারে তাঁদের সময় কাটানোর পর পশ্চিম এশিয়া ভ্রমণ তাঁর জন্য একটি নতুন সূচনার মতো অনুভূত হয়েছিল। লোহিত সাগরের কাছে থাকার সুযোগ পাওয়ায় তিনি খুশি।
বিখ্যাত বাবা-মায়ের খ্যাতি বুঝতে শিখেছে রোনাল্ডো-জর্জিনার সন্তানরা
জর্জিনা রডরিগেজ জানিয়েছেন, তিনি এটা আবিষ্কার করে খুশি হয়েছেন যে লোহিত সাগরের সৈকত তাঁদের বাড়ি থেকে মাত্র দুই ঘন্টা দূরে। লোহিত সাগরের কাছে প্রকৃতির সাথে সংযোগ স্থাপন করা সৌদিতে তাঁদের পরিবারের প্রিয় কার্যকলাপ। সেখানে তাদের সময় কাটানোর সময়, জর্জিনা দেখতে পান যে তার বাচ্চারা তাদের বাবা-মায়ের খ্যাতি সম্পর্কে ক্রমশ সচেতন হয়ে উঠছে। ‘তারা বুঝতে শুরু করেছে যে আমরা অন্য সবার মতো নই।’
সৌদি আরবে থাকার সুযোগ পেয়ে তিনি খুশি বলে জানিয়েছেন জর্জিনা রডরিগেজ
জর্জিনা রডরিগেজ জানিয়েছেন, সৌদি আরব মানুষকে জীবনের সরল আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ দেয়। নতুন মরসুমে জর্জিনা এক বিরল উপহারও পেয়েছেন। আল উলার ঐতিহাসিক অঞ্চলে তাঁর হাতের স্থায়ী ছাপ রেখেছেন। এই প্রতীকী অঙ্গভঙ্গিটি সরাসরি তার সাথে কথা বলেছিল কারণ এটি তাঁকে এমন একটি জায়গায় স্থায়ী ছাপ রাখতে দেয় যার সঙ্গে তিনি মানসিকভাবে সংযুক্ত বোধ করেছিলেন। সৌদি আরবে কেনাকাটা উপভোগ করেছেন জর্জিনা।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর অবসর প্রসঙ্গে জর্জিনা রডরিগেজ বলেছেন, ‘ওর সঙ্গে যেদিন আলাপ হয়েছিল, আজও সেদিনের মতোই ওকে অনুপ্রাণিত করে ফুটবল। ও এখনও ফুটবল মাঠে সর্বস্ব দেয়। সবাই যখন আমাকে ক্রিশ্চিয়ানোর অবসর নিয়ে প্রশ্ন করে, তখন আমি বলি, ও ৫০ বছর বয়সে অবসর নিতে পারে।’
ম্যাঞ্চেস্টার ছাড়তে পেরে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন, জানিয়েছেন জর্জিনা রডরিগেজ
জর্জিনা রডরিগেজ বলেছেন, ‘ক্রিস যখন আমাকে জানায়, ও আল-নাসরের হয়ে খেলবে, আমি স্বস্তি পেয়েছিলাম। আমি ম্যাঞ্চেস্টার ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম। আমি সৌদি আরবে থাকার সুযোগ পেয়ে খুশি হয়েছিলাম।’