কন্যাশ্রী কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু মহিলাদের জাতীয় লিগের প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী গোকুলম কেরালা এফসি-র কাছে ধরাশায়ী হল লাল-হলুদ।
কন্যাশ্রী কাপে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখানোর পর অনেক আশা নিয়ে ইন্ডিয়ান উইমেনস লিগে খেলতে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু বুধবার প্রথম ম্যাচেই গোকুলম কেরালা এফসি-র বিরুদ্ধে ২-৮ গোলে হেরে গেলেন রত্না হালদার, রিম্পা হালদার, মৌসুমী মুর্মুরা। গোকুলমের হয়ে একাই ৫ গোল করেন সবিত্রা ভাণ্ডারী। একটি করে গোল করেন ইন্দুমতি কাথিরেসান, ভিভিয়ান কোনাডু অ্যাডেই ও অধিনায়ক ড্যানজেমি গ্রেস। এবারই প্রথম মহিলাদের জাতীয় লিগে যোগ দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। গতবারের চ্যাম্পিয়ন গোকুলম অত্যন্ত শক্তিশালী দল। একাধিক বিদেশি ফুটবলার আছেন কেরালার এই দলে। এই দলের বিরুদ্ধে বিশেষ লড়াই করতে পারলেন না লাল-হলুদের মহিলা ফুটবলাররা। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সান্ত্বনা গোল করেন রিম্পা ও তুলসি হেমব্রম।
এই ম্যাচের শুরুতেই গোকুলমকে এগিয়ে দেন সবিত্রা। তাঁকে বাধ দিতে পারেননি লাল-হলুদের গোলকিপার জাম্বালু তায়াং। এরপর সবিত্রাই ব্যবধান বাড়ান। এবারও লাল-হলুদ গোলকিপারকে সহজেই টপকে যান সবিত্রা। গোকুলমের হয়ে তৃতীয় গোল করেন ইন্দুমতি। এরপর পেনাল্টি বক্সের মধ্যে থেকে ভলিতে গোল করে ব্যবধান কমান রিম্পা। সেই সময় পর্যন্ত ম্যাচে ফেরার আশা ছিল লাল-হলুদের। কিন্তু এরপরেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সবিত্রা। লাল-হলুদ রক্ষণের ভুলে তিনি দলের চতুর্থ ও নিজের তৃতীয় গোল পেয়ে যান। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই ফের লাল-হলুদের হয়ে ব্যবধান কমান তুলসি। তিনি দুর্দান্ত শারীরিক সক্ষমতার পরিচয় দিয়ে গোকুলমের ডিফেন্ডারদের টপকে জালে বল জড়িয়ে দেন। তবে এরপর বাকি সময়টা গোকুলমেরই দাপট দেখা যায়। পরপর গোল করে যায় কেরালার দলটি।
মহিলাদের জাতীয় লিগে গ্রুপ এ-র অন্য ম্যাচে কাহানি ফুটবল ক্লাবকে ১-০ হারিয়ে দিয়েছে মুম্বই নাইটস। ম্যাচের ২৪ মিনিটে একমাত্র গোল করেন মুম্বইয়ের স্ট্রাইকার প্রিয়াঙ্কা। কাহানি ফুটবল ক্লাব গোল শোধের অনেক চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের পক্ষে সমতা ফেরানো সম্ভব হয়নি। অন্য ম্যাচে দিল্লির দল হপস এফসি-কে ৩-২ গোলে হারিয়ে দিয়েছে স্পোর্টস ওড়িশা। এই ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই হয়। প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই ম্যাচের রং বদলে যায়। ৫১ মিনিটে প্রথম গোল করে স্পোর্টস ওড়িশাকে এগিয়ে দেন রেখা পৌডেল। ৫৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন মণীষা নায়েক। তবে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে ফেরে হপস এফসি। ৭১ মিনিটে ব্যবধান কমান শৈলজা। ৮১ মিনিটে সমতা ফেরান রজনী বালা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। শেষদিকে গোল করে স্পোর্টস ওড়িশার জয় নিশ্চিত করেন অঞ্জু।
আরও পড়ুন-
দিয়েগো মরিসিওর জোড়া গোল, বেঙ্গালুরু এফসি-কে হারিয়ে প্রথম ট্রফি ওড়িশার
সমর্থকদের খুশি করাই লক্ষ্য, লাল-হলুদের দায়িত্ব নিয়ে বার্তা কার্লেস কুয়াদ্রাতের
চুনী গোস্বামীর নামাঙ্কিত গেট উদ্বোধন, সুনীল গাভাসকরের মুখে জয় মোহনবাগান