ক্রোয়েশিয়ার কোচ ইগর স্টিম্যাচের হাত ধরে কি আদৌ এগোচ্ছে ভারতীয় দল? ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান একাধিক প্রাক্তন ফুটবলার। দেবজিৎ ঘোষ তো সরাসরি জাতীয় দলের কোচের সমালোচনা করেছেন।
বুধবার ইম্ফলে শুরু হচ্ছে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টের জন্য ঘোষিত প্রাথমিক দলে মোহনবাগানের ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল ও ইস্টবেঙ্গলের উইঙ্গার নাওরেম মহেশ সিংকে না রাখলেও, শেষমুহূর্তে তাঁদের ডাকলেন কোচ ইগর স্টিম্যাচ। প্রীতমকে জাতীয় দলে না ডাকা নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন স্টিম্যাচ। কারণ, এবারের আইএসএল-এ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন প্রীতম। ঠান্ডা মাথার এই ডিফেন্ডার যেমন রক্ষণ সামাল দিতে পারেন, তেমনই আক্রমণেও দলকে সাহায্য করেন। অথচ তাঁকেই জাতীয় দলে ডাকা হয়নি। ক্লাব দলের সতীর্থ গ্লেন মার্টিন্স চোট পাওয়ায় তাঁর বদলে জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন প্রীতম। আইএসএল ফাইনালে চোট পাওয়া বেঙ্গালুরু এফসি-র তরুণ ফুটবলার শিবশক্তি নারায়ণও এখন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারবেন না। তাঁর পরিবর্ত হিসেবেই সুযোগ পেলেন মহেশ। বুধবার মায়ানমার ও আগামী মঙ্গলবার কিরগিজস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে ভারতীয় দল। প্রীতম ও মহেশ যদি প্রথম একাদশে থাকেন, তাহলে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পাবেন। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামলে ভালো পারফরম্যান্স দেখানোর সুযোগ কম।
ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের আগে অবশ্য জাতীয় দলের প্রস্তুতি নিয়ে খুশি নন কোচ স্টিম্যাচ। তিনি বলেছেন, 'শিবশক্তি চোট পাওয়ার পর আশিক কুরুনিয়ানকে জাতীয় দলে ডাকা হয়। কিন্তু আইএসএল ফাইনালে আশিকও চোট পেল। ও ভারতীয় দলের মূল্যবান খেলোয়াড়। সেই কারণে ওকেও আপাতত জাতীয় দলের বাইরে রাখতে হচ্ছে। গ্লেন মার্টিন্সেরও হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নাওরেম মহেশ ও প্রীতম কোটালকে জাতীয় শিবিরে ডাকা হয়েছে। যে খেলোয়াড়দের এখন দলের বাইরে রাখতে হচ্ছে, তাদের ফের মে মাসে ডাকা হবে। ওরা নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করার সুযোগ পাবে। এটা দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। আমাদের সমস্যা হল, যে দু'টি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলাম, সেটি এখন টুর্নামেন্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে কিছু বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। আমরা ২৩ জনের বেশি ফুটবলারকে নথিভুক্ত করতে পারব না। আমি প্রথমে ৩৫ জন ফুটবলারকে দলে রাখার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু এখন সেটা সম্ভব নয়। এর ফলে ফুটবলারদের চোট পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমাদের কাজটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।'
জাতীয় কোচ জানিয়েছেন, এশিয়ান কাপের আগে অন্তত ৪ সপ্তাহের প্রস্তুতি শিবির চান তিনি। এর জন্য আইএসএল-এর সূচিতে প্রয়োজনীয় বদল আনার অনুরোধ জানাচ্ছেন তিনি। ফুটবলারদের উপর যাতে চাপ না পড়ে, সেটাই নিশ্চিত করতে চান কোচ।
আরও পড়ুন-
পরবর্তী লক্ষ্য সুপার কাপ, আগামী মরসুমে আরও শক্তিশালী দল হবে, জানালেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা
আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে কলকাতায় ফিরল মোহনবাগান দল, বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস সমর্থকদের
আর এটিকে মোহনবাগান নয়, পরের মরসুম থেকে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস, ঘোষণা সঞ্জীব গোয়েঙ্কার