
Indian Super League: সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নয়া প্রস্তাব (indian super league 2026)। শুক্রবার, আইএসএল-এর ক্লাবগুলির সঙ্গে অনলাইনে একটি বৈঠক করে এআইএফএফ-এর তরফ থেকে তৈরি তিন সদস্যের বিশেষ কমিটি (indian super league controversy)।
সেই বৈঠকেই আইএসএল আয়োজনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফ থেকে। জানা যাচ্ছে, ২০ বছরের জন্য আইএসএল আয়োজনের একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এমনকি, আইএসএল-এর সমস্ত ক্লাব প্রাথমিকভাবে সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি আছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর, আবার একটি বৈঠক রয়েছে। সেখানে আবার এই পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। ফলে, বাকিটা পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তখনই।
এদিকে নতুন এই প্রস্তাবে আইএসএল-এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে পুরোপুরিভাবে এআইএফএফ-এর হাতে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট অনুমোদিত সংবিধানেও সেই কথাই বলা রয়েছে। নতুন লিগের মরশুম ২০২৬-২৭ সাইকেলে শুরু হবে।
আগামী ১ জুন থেকে পরের বছরের ৩১ মে পর্যন্ত এই টুর্নামেন্ট চলবে। প্রথম মরশুমে আইএসএল আয়োজিত হবে হবে ৭০ কোটি টাকার বাজেটে। এটিকে বলা হচ্ছে ‘সেন্ট্রাল অপারেশনাল বাজেট'। প্রতিটি ক্লাবকে অংশগ্রহণ মূল্য বাবদ ১ কোটি টাকা করে দিতে হবে বলে জানা যাচ্ছে।
এই প্রতিযোগিতা থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের ১০% থাকবে ফেডারেশনের হাতে। এরপর ৩০% যাবে বাণিজ্যিক সহযোগীর কাছে। অন্যদিকে, ৫০% লভ্যাংশ সমানভাবে ভাগ করা হবে ক্লাবগুলির মধ্যে।
তবে ‘রেভিনিউ পুল’-এর ৪% শেয়ারের মালিক হতে গেলে অবশ্যই বাণিজ্যিক সহযোগীকে দিতে হবে ১২ কোটি টাকা। বাকি ২৬% তারা পাবে ‘লিগ মেম্বারশিপ কনট্রিবিউশন’-এর মাধ্যমে। এবার আসা যাক ‘সেন্ট্রাল অপারেশনাল বাজেট’-এর কথায়। প্রাইজ মানি সহ সহ লিগ আয়োজনের যাবতীয় খরচ ধরা থাকবে এই বাজেটের মধ্যে।
এরপর যে টাকা বাঁচবে, তা সমানভাবে প্রত্যেকটি দলের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। গোয়া ফুটবল সংস্থার সভাপতি কাইতানো ফার্নান্ডেজ় একটি স্পোর্টস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “এই বৈঠক খুবই সদর্থক হয়েছে। মোট ১৪টি ক্লাবের প্রতিনিধিরাই হাজির ছিলেন শুক্রবার। ক্লাবগুলির কাছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের মডেল তুলে ধরেছি আমরা। আশা করি, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই মরশুমের লিগ শুরু করা যাবে। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য ক্লাবগুলি ১-২ দিনের সময় চেয়েছে।”
লভ্যাংশের ৬০% যাবে ক্লাবগুলির কাছে। তার মধ্যে ৫০% সমস্ত ক্লাবের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। বাকি ১০% তাদের দেওয়া হবে, যারা বাড়তি সেন্ট্রাল রেভিনিউ পুলের অতিরিক্ত ‘রেভিনিউ শেয়ার’-এ বিনিয়োগ করটে পারবে। ফলে, অবনমন হয়ে যাওয়া ক্লাবগুলি কোনও আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হবেনা ।
অন্যদিকে, যে ক্লাবগুলি ৮ বছর বা তার বেশি বছর আইএসএল খেলছে, তারা বাড়তি ১% লভ্যাংশ পাবে। এছাড়া যে ক্লাবগুলি ৩-৮ বছর ধরে আইএসএল খেলছে, তারা পাবে ০.৫%। যে সব ক্লাবের তিন বছরের লাইসেন্স হয়েছে, তারা পাবে ০.২৫%।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।