২০১৯-২০ মরসুমে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান। সে বছরই আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয় এটিকে এফসি। এই দুই দলের সংযুক্তির পর থেকে এখনও ট্রফি আসেনি। খেতাবের অপেক্ষায় সমর্থকরা।
বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্লে-অফে ওড়িশা এফসি-কে ২-০ হারিয়ে আইএসএল সেমি ফাইনাল পৌঁছে গেল এটিকে মোহনবাগান। শনিবারের ম্যাচে গোল করলেন হুগো বুমোস ও দিমিত্রিয়স পেট্রাটস। এবার সেমি ফাইনালে হায়দরাবাদ এফসি-র মুখোমুখি হচ্ছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ৯ মার্চ সেমি ফাইনালের প্রথম লেগ হবে হায়দরাবাদে। ১৩ মার্চ সেমি ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ কলকাতায়। ফলে সুবিধাজনক জায়গায় এটিকে মোহনবাগান। তবে সেমি ফাইনালে জয় পেতে হলে আরও ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে হবে। বিপক্ষ দলকে কোনওরকম সুযোগ দিলে চলবে না। শনিবার ওড়িশা একাধিক সহজ সুযোগ পেয়েছিল। হায়দরাবাদকে সেই সুযোগ দেওয়া চলবে না। সবুজ-মেরুন ব্রিগেড অবশ্য যেরকম ছন্দে আছে তাতে সেমি ফাইনালেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সমর্থকরা। ফুটবলাররাও পরপর জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। তাঁরা শক্তিশালী হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করতে তৈরি। হায়দরাবাদকে হারানোর পর ফাইনাল নিয়ে ভাববে সবুজ-মেরুন শিবির।
শনিবারের ম্যাচের শুরুতেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন আশিক কুরুনিয়ান। এবারের আইএসএল-এর শুরু থেকেই সবুজ-মেরুনের লেফট উইং সচল রাখছেন আশিক। তবে তিনি উঠে যেতে বাধ্য হলেও, লিস্টন কোলাসো মাঠে নামায় সমস্যা হয়নি। ৩৬ মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে যায় মেরিনার্সরা। দিমিত্রিয়স পেট্টাটসের জোরালো শট সেভ করে দেন ওড়িশা এফসি-র গোলকিপার অমরিন্দর সিং। ফলে কর্নার পায় এটিকে মোহনবাগান। নিজেই কর্নার কিক নিতে যান পেট্রাটস। তিনি দ্রুত কর্নার থেকে মনবীর সিংকে বল বাড়ান। মনবীর ফ্লিক করে দেন। সেই বল বক্সে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা হুগো বুমোসের কাছে যায়। তাঁর বাঁ পায়ের শট জালে জড়িয়ে যায়। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দু'দলই একাধিক সুযোগ পায়। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ সুযোগ পান লিস্টন। ৫০ মিনিটে আশিস রাইয়ের ক্রস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে যান লিস্টন। তবে তিনি শট নেওয়ার আগেই ঝাঁপিয়ে পড়ে পা থেকে বল তুলে নেন অমরিন্দর। তবে দ্বিতীয় গোল পাওয়ার জন্য সবুজ-মেরুন শিবিরকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৫৭ মিনিটে বক্সের মধ্যে থেকে ডান পায়ের অসাধারণ শটে অমরিন্দরকে হার মানান পেট্রাটস। ডার্বির পর ফের গোল পেলেন সবুজ-মেরুনের অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার। এরপর ওড়িশার আর কিছু করার ছিল না।
৬০ মিনিটে ওড়িশা এফসি-র স্ট্রাইকার দিয়েগো মরিসিওর সঙ্গে সংঘর্ষে মারাত্মক চোট পান এটিকে মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কাইথ। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে অ্যাম্বুল্যান্স যায়। ফুটবলাররা সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সবুজ-মেরুন কোচ হুয়ান ফেরান্দোও মাঠে ছুটে যান। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই উঠে দাঁড়ান বিশাল। দর্শকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। বিশাল বাকি সময়টাও খেলতে চাইছিলেন। তবে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়। কোচের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন বিশাল। তবে দলের বাকিরা তাঁকে বোঝান।
আরও পড়ুন-
পানামা, কিউরাসাওয়ের বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে খেলবেন, দেশের হয়ে ১০০ গোলের লক্ষ্যে মেসি
রোজারিওতে শ্বশুরের সুপার মার্কেটে গুলি, লিওনেল মেসিকে খুনের হুমকি!
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লিওনেল মেসির জার্সি উপহার দিলেন আর্জেন্টিনার বিদেশমন্ত্রী