গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই বড় দল বা খেলোয়াড়দের সেরা পারফরম্যান্স দেখা যায়। রবিবার ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে আইএসএল সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সেটাই দেখাল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
ওড়িশা এফসি-কে ২-০ উড়িয়ে আইএসএল ফাইনালে পৌঁছে গেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। প্রথম লেগে হারের পর দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়াল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। রবিবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে গোল করলেন জেসন কামিংস ও সাহাল আবদুল সামাদ। ভুবনেশ্বেরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে প্রথম লেগে ২-১ জয় পেয়েছিল ওড়িশা। ফলে ৯০ মিনিটের মধ্যে ফাইনালে যাওয়ার ছাড়পত্র জোগাড় করতে হলে রবিবার ২-০ জয় পাওয়া জরুরি ছিল সবুজ-মেরুনের। ঠিক সেটাই হল। ২২ মিনিটে প্রথম গোল করেন কামিংস। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের সংযোজিত সময়ে দ্বিতীয় গোল করেন পরিবর্ত সাহাল। চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেই নায়ক হয়ে গেলেন কেরালার এই তারকা।
দাপট দেখিয়ে জয় সবুজ-মেরুনের
গত ম্যাচে ওড়িশার কাছে হারের পর এদিন জয় পেতে মরিয়া ছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। কিক-অফ থেকেই সেই মরিয়া মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল। অন্যদিকে, ওড়িশা এফসি-র ফুটবলারদের মধ্যে রয় কৃষ্ণ ছাড়া আর কারও মধ্যে ভালো খেলার তাগিদ দেখা যাচ্ছিল না। গোলকিপার অমরিন্দর সিং, তারকা মিডফিল্ডার আহমেদ জাহু, তারকা স্ট্রাইকার দিয়েগো মরিসিও ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে ব্যর্থ। সারা ম্যাচে একের পর এক ভুল পাস দিয়ে গেলেন জাহু। বেশ কয়েকটি ফ্রি-কিক, কর্নার কিক পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি। সবুজ-মেরুনের প্রথম গোল অমরিন্দরের 'উপহার'। দিমিত্রি পেট্রাটসের শট গ্রিপ করতে ব্যর্থ হন ওড়িশার গোলকিপার। সেই বল গিয়ে পড়ে কামিংসের পায়ে। তিনি জালে বল জড়িয়ে দেন। পিছিয়ে পড়েও ওড়িশার ফুটবলারদের মধ্যে সমতা ফেরানোর বিশেষ চেষ্টা দেখা যায়নি। বরং সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের আক্রমণই বেশি ছিল। এর ফলেই ম্যাচের শেষদিকে দ্বিতীয় গোল এল।
লোবেরাকে টেক্কা হাবাসের
মাঠের বাইরের লড়াইয়ে ওড়িশা এফসি-র প্রধান কোচ সের্জিও লোবেরাকে টেক্কা দিলেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের প্রধান কোচ অ্যান্টনিও লোপেজ হাবাস। তাঁর কোচিংয়ে দল কোনওবার আইএসএল সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে হারেনি। রবিবারও সেই ধারা বজায় থাকল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
UEFA Champions League: টাইব্রেকারে ম্যান সিটিকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
UEFA Champions League: আর্সেনালকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ