সত্তরের দশকে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আবেগ, ভালোবাসা কিংবদন্তি হয়ে গিয়েছে। তবে বর্তমান প্রজন্মেরও প্রিয় দলের জন্য ভালোবাসা কম নেই।
ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের নিয়ে যদি ভবিষ্যতে সাহিত্য রচনা করা হয় বা তথ্যচিত্র তৈরি হয়, তাহলে বাঘাদার পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কথাও উল্লেখ করতে হবে। বাঘাদা ছেলের শেষকৃত্য করে শ্মশান থেকে সোজা মাঠে পৌঁছে গিয়েছিলেন। বর্তমান প্রজন্ম ট্রেনের মেঝেতে সারারাত শুয়ে ভুবনেশ্বর পৌঁছে গেল। ইস্টবেঙ্গলের জন্য আবেগ, ভালোবাসা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বহমান। সত্তরের দশকে ফুটবল মাঠে মহিলাদের দেখা যেত না। বর্তমান প্রজন্মের মেয়েরাও প্রিয় দলের জন্য গলা ফাটাতে গ্যালারিতে হাজির থাকছে। ভুবনেশ্বরেও ইস্টবেঙ্গলের অনেক মহিলা সমর্থককে দেখা যাচ্ছে। পুরুষদের মতোই লাল-হলুদ জার্সির প্রতি মহিলাদের আবেগ রয়েছে। সবার একটাই চাহিদা, প্রিয় দল চ্যাম্পিয়ন হোক। তার জন্য সমর্থকরা সবরকম কষ্ট সহ্য করতে রাজি। মাঠে যেমন ফুটবলাররা লড়াই করবেন, তেমনই মাঠের বাইরে সমর্থকরাও লড়াই করছেন।
ভুবনেশ্বরে কয়েক হাজার ইস্টবেঙ্গল সমর্থক
কলিঙ্গ সুপার কাপ ফাইনাল হচ্ছে ওড়িশা এফসি-র ঘরের মাঠে। কিন্তু সমর্থনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ইস্টবেঙ্গল। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার সমর্থক ভুবনেশ্বরে পৌঁছে গিয়েছেন। আরও অনেকে রবিবার সকালে ভুবনেশ্বরের ট্রেন ধরেছেন। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের সংগঠন আলট্রাজের পক্ষ থেকে ৩টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আরও অনেক সংগঠনের পক্ষ থেকে দলবদ্ধভাবে ভুবনেশ্বরে পৌঁছে গিয়েছেন সমর্থকরা। ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেকে বাস, ট্রেন, ট্র্যাভেলারে করে কলিঙ্গ সুপার কাপ ফাইনাল দেখতে যাচ্ছেন। সবারই একটাই দাবি, প্রিয় দলকে ট্রফি জিততে হবে।
৬ বছর পর সুপার কাপ ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল
২০১৮ সালে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামেই সুপার কাপ ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসি-র কাছে হেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেবারও কয়েক হাজার সমর্থক ভুবনেশ্বরে গিয়েছিলেন। এবার দলের পারফরম্যান্স ভালো হওয়ায় লাল-হলুদ জনতার আবেগ বেশি। সবাই আশা করছেন প্রিয় দল চ্যাম্পিয়ন হবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
East Bengal: ১২ বছর পর সর্বভারতীয় ট্রফি জয়ের হাতছানি, তৈরি ইস্টবেঙ্গল
East Bengal: কলিঙ্গ সুপার কাপ ফাইনালে মহেশ-লালচুংনুঙ্গাকে খেলাবে ইস্টবেঙ্গল?
East Bengal: রেফারির ভুলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত, ফাইনালের আগে চিন্তায় ইস্টবেঙ্গল