শনিবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আইএসএল-এর দ্বিতীয় লেগের কলকাতা ডার্বি। ইস্টবেঙ্গল-এটিকে মোহনবাগান ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দুই শিবিরই এই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজিত।
শনিবার আইএসএল-এ কলকাতা ডার্বির টিকিট নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সে ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ইমামি ইস্টবেঙ্গল এফসি। এক বিবৃতিতে ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘আমরা সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচের টিকিট বিতরণ নিয়ে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি। আমরা জানিয়ে দিতে চাই, নিয়ম মেনেই সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে কমপ্লিমেন্টারি টিকিট দেওয়া হয়েছে।’ এবারের আইএসএল-এ প্রথম লেগের কলকাতা ডার্বির আয়োজক ছিল এটিকে মোহনবাগান। এবার দ্বিতীয় লেগের ডার্বি আয়োজন করছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু টিকিট বিলি নিয়ে ইনভেস্টর সংস্থার সঙ্গে লাল-হলুদ কর্মকর্তাদেরই মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের দাবি, ইনভেস্টরদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে ভিভিআইপি ও ভিআইপি টিকিট পাঠানো হয়নি। সেই কারণে ক্লাবের পক্ষ থেকে সব টিকিট ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটিকে মোহনবাগান ও আইএফএ-র পক্ষ থেকেও একই অভিযোগ করা হয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টরকে টিকিট ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে এটিকে মোহনবাগান ও আইএফএ। এই পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুলল ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর সংস্থা।
এবারের কলকাতা ডার্বির আগে মাঠের বাইরে অনেকগুলি পরস্পর-বিরোধী গোষ্ঠীর লড়াই দেখা যাচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের একটা বড় অংশ ডার্বি বয়কট করার ডাক দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে প্রচার। নিয়মিত ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ দেখতে যান এমন অনেক সমর্থকেরই দাবি, ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার সরে না যাওয়া পর্যন্ত তাঁরা মাঠমুখো হবেন না। ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা আবার ইনভেস্টরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ইনভেস্টরের সমালোচনা করেছেন স্বয় শীর্ষকর্তা। তিনি ঘুরিয়ে ডার্বি বয়কটের দাবিকে সমর্থনও করেছেন। ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টরের বিরোধিতায় সরব এটিকে মোহনবাগান ও আইএফএ। ফলে কিক-অফের আগেই মাঠের বাইরে আবেগের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ দেখা যাচ্ছে। শনিবার যা থেকে মাঠে বিস্ফোরণ হতেই পারে।
ম্যাচের আগের দিনও লাল-হলুদ জনতার যা মনোভাব, তাতে গত এক দশকে এবারই কলকাতা ডার্বিতে সবচেয়ে কম দর্শক দেখা যেতে পারে। ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আই লিগের ফিরতি ডার্বিতে ২৫ হাজারের মতো দর্শক ছিলেন গ্যালারিতে। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বরের ডার্বিতে গোলমালের প্রভাব পড়েছিল সেই ম্যাচে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা স্বেচ্ছায় ডার্বি দেখতে যাবেন না বলছেন। ফলে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য গ্যালারির যে অংশ নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তা ফাঁকাই থাকতে পারে।
আরও পড়ুন-
ডার্বিতে পার্থক্য গড়ে দেবেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা, আশায় কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন
ডার্বিতে ক্লেইটন সিলভাকে গোল করতে দেবেন না, চ্যালেঞ্জ স্লাভকো ডেমানোভিচের
অ্যাওয়ে ম্যাচে মুম্বইকে হারিয়ে ডার্বির আগে অক্সিজেন পেয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল