
Messi in India: মেসির ‘গোট ইন্ডিয়া ট্যুর' শেষ হল। বিশ্ব ফুটবলের রাজপুত্র তথা ম্যাজিশিয়ান এবং কিংবদন্তি লিওনেল মেসির ভারত সফর শেষ হল। কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, মুম্বই, দিল্লী এবং গুজরাতের জামনগরে আম্বানি পরিবারের সঙ্গে ‘বনতারা'-য় আলাপচারিতা সেরে ফিরলেন ‘এলএম১০'।
তারপরেই মেসির সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। তবে সেখানে কিন্তু কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের কোনও উল্লেখ নেই। শুধু কলকাতায় তিনি যে মূর্তিটি উন্মোচন করেছেন, সেটির উল্লেখ আছে। বাকি পুরোটা জুড়ে আছে হায়দ্রাবাদ, মুম্বই এবং দিল্লী।
গত শনিবার, মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে টিকিট কেটেও মেসিকে দেখতে না পাওয়ার হতাশায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দর্শকরা। তারপর শুরু করেন ভাঙচুর। চরম উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় যুবভারতীতে।
সকাল ১১.৫২ মিনিটে যুবভারতী মেসি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই, পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এমনকি, স্টেডিয়ামের ফেন্সিং ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন বিরাট সংখ্যক মানুষ। মেসিকে দেখতে এসে রাগের চোটে তারা গ্যালারির চেয়ারও ভেঙে ফেলেন। তারপর ছুঁড়তে শুরু করেন। জলের বোতলও ছোঁড়া হয়।
সেই ঘটনার খবর দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ে। সেইজন্যই সম্ভবত, মেসির ভিডিও থেকে বাদ পড়ল যুবভারতী। কারণ, লিওনেল মেসি যে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন নিজের পেজ থেকে, সেখানে কলকাতার একটি মুহূর্তই মাত্র ধরা পড়েছে। সেটি হল তাঁর নিজের মূর্তি উন্মোচন। তবে যুবভারতীর অনুষ্ঠানের কোনও মুহূর্ত নেই। পুরোটা জুড়ে আছে হায়দ্রাবাদ, মুম্বই এবং দিল্লীর অনুষ্ঠান।
তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির সঙ্গে ফুটবল খেলার মুহূর্ত, ছোটদের সঙ্গে অনুশীলন, গ্যালারিতে বল পাঠানো এবং দর্শকদের দিকে হাত নাড়ার মুহূর্ত রয়েছে সেই ভিডিওতে। অপরদিকে, মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে তাঁর কথা বলার মুহূর্ত দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে, সব জায়গায় হাসিমুখে রয়েছেন মেসি, লুই সুয়ারেজ় এবং রগ্রিগো ডি’পল।
মুম্বইয়ের ব্র্যাবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়ায় ‘প্যাডল কাপ’-এ যোগ দেওয়ার মূহূর্ত বা সেখানে করিনা কপূর খানের সঙ্গে ছবি তোলার মুহূর্তও রয়েছে এই ভিডিওতে। মেসির ভিডিওতে জায়গা পেয়েছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা এবং পার্থ জিন্দলের মতো শিল্পপতিরা। মেসির ভিডিওর ক্যাপশনে অবশ্য কলকাতার উল্লেখ রয়েছে। তিনি লিখেছেন, “নমস্কার ভারত। দিল্লী, মুম্বই, হায়দ্রাবাদ এবং কলকাতায় গেছি। যে আতিথেয়তা এবং ভালোবাসা পেয়েছি, তার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি যে, ভারতে ফুটবলের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।”
যুবভারতীকে পুরো বাদ দিলেও এই সফরের মূল আয়োজক শতদ্রু দত্তর নাম ক্যাপশনে লিখেছেন মেসি। অন্যদিকে, ভারতবাসীর প্রটি মেসি বলেছেন, “গত কয়েকদিন ধরে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তার জন্য সবার আগে ভারতকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটি একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। এই সফর খুব অল্প সময়ের জন্য ছিল। কিন্তু যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে। আমি জানতাম যে, ভালোবাসা পাব। কিন্তু সেটা কতটা সেই আন্দাজ ছিল না। সকলে পাগলের মতো ভালোবেসেছেন আমাদের। এই অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরে যাচ্ছি। আশা করছি, একদিন আমরা ভারতে খেলতে আসব। তবে খেলতে না পারলেও ভারতে আবার আসবই। সকলকে ধন্যবাদ।”
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।