“ঘটি-বাঙালি একটাই ঘর, জাস্টিস ফর আর জি কর।” বিচারের দাবিতে পথে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
“ঘটি-বাঙালি একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর।” বিচারের দাবিতে পথে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
সেই অভিশপ্ত রাত। যে রাতে আর জি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়। এইমুহূর্তে বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য এবং দেশ।
এমনকি, প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন বিদেশে বসবাসকারী অনেকেই। কর্মবিরতির ডাক দেন ডাক্তাররা। রাত জাগেন রাজ্যের মহিলারা। এবার একযোগে পথে নেমেছেন বাঙালির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। দাবি একটাই “জাস্টিস ফর আর জি কর।”
রবিবার, অর্থাৎ ১৮ অগাস্ট। যেদিন কলকাতা ডার্বি হওয়ার কথা ছিল, ঠিক সেদিনই পথে নামার ডাক দেন দুই প্রধানের সমর্থকরা। জানা যাচ্ছে, মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে মহামেডান সমর্থকরাও এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কথা জানায়। কার্যত, একযোগে বিচারের দাবিতে প্রতিবাদে নামার হুঁশিয়ারি দেয়।
এদিন বিকেলে যুবভারতীর ৫ নম্বর, অর্থাৎ ভিআইপি গেট থেকে বিকেল ৫ টায় প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেন তারা। তবে সেইসঙ্গে অন্যান্য অনেক জায়গাতে তার আগেই শুরু হয়ে যায় মিছিল এবং বিক্ষোভ। মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা পা মেলাতে শুরু করেন।
জানা যাচ্ছে, এদিন প্রতিবাদ শুরু হওয়ার আগেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করে নেয় পুলিশ। প্রতিবাদের আঁচ বুঝতে পেরে যুবভারতীর বাইরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
কিন্তু তারপরেও আন্দোলনকেও থামিয়ে রাখা যায়নি। ফ্লেক্স নিয়ে কার্যত বিশাল পরিমাণে মোহন-ইস্ট জনতা রাস্তায় নেমে পড়েন। তারা স্লোগান দিয়ে থাকেন “ঘটি-বাঙালি একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর।” অনেকে বলতে থাকেন দুই গ্যালারির একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর।”
মিছিল থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, এত পুলিশ এল কোথা থেকে? তাহলে তো ডার্বি করানোই যেত। প্রশাসন এবং সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন অনেকেই।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।