'সব ম্যাচই আমাদের জন্য কঠিন', সেমিফাইনাল শেষে আর কী কী জানালেন মোলিনা এবং বিশাল?

রুদ্ধশ্বাস সেমিতে পালতোলা নৌকার জয়জয়কার। সত্যিই যেন এক হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের সাক্ষী থাকল গোটা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন।

Subhankar Das | Published : Aug 27, 2024 7:56 PM IST / Updated: Aug 28 2024, 01:32 AM IST

রুদ্ধশ্বাস সেমিতে পালতোলা নৌকার জয়জয়কার। সত্যিই যেন এক হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের সাক্ষী থাকল গোটা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন।

দুরন্ত জয় এবং রাজকীয় ঢঙেই ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) সেমিফাইনাল জিতে নিল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। কার্যত, বলা চলে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচে জয় পেল মোহনবাগান (Mohun Bagan)।

Latest Videos

আর ম্যাচে শেষে দলের কোচ জোসে মোলিনা (Jose Francisco Molina) জানালেন, “বেঙ্গালুরু ভালো ফুটবল খেলেছে। কিন্তু আমাদের ছেলেরা দুর্দান্ত লড়াই করে ম্যাচে ফিরে এসেছে এবং জয় পেয়েছে। হ্যাঁ, ম্যাচে আমাদের কিছু ভুল হয়েছে। কিন্তু সেগুলো আমরা কাটিয়ে উঠে খেলায় ফিরে আসি। নিশ্চয়ই পরের ম্যাচে নামার আগে সেগুলো মাথায় রাখব।”

তাঁর কথায়, “আমাদের কাছে সব ম্যাচই কঠিন। কোনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ম্যাচই সহজ নয়। আমাদের ক্লাবের ম্যানেজমেন্ট ভালো দল গড়েছে। এই সাফল্যের পিছনে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। আর আজকের ম্যাচে অনিরুদ্ধ দারুণ খেলেছে, ভালো প্লেয়ার ও।”

অন্যদিকে, বিশাল কেইথ বলেন, “কোচ ভীষণ সাহায্য করেছে আমাকে। আমি এইরকমই পারফর্ম করে যেতে চাই। কোথায় কোন প্লেয়ার শট নেয়, সেই বুঝে আমি হোমওয়ার্ক করেই মাঠে নেমেছিলাম। আমার কাজ দলের হয়ে ডিউটি করা, আমি ঠিক সেটাই করেছি। আমার কাজটা আমি সঠিকভাবে করে যেতে চাই।”

এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধ ভালো না গেলেও, দ্বিতীয়ার্ধে কার্যত ম্যাচের দখল নেয় মোহনবাগান। পেনাল্টি থেকে সুনীলের গোলে ফার্স্ট হাফে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু এফসি। এরপর খেলার ৫০ মিনিটে, গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন ভিনিথ (Vinith)।

আরও পড়ুনঃ

রুদ্ধশ্বাস সেমিতে ত্রাতা সেই বিশালই, টাইব্রেকারে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে ডুরান্ড ফাইনালে মোহনবাগান 

কিন্তু হাল ছাড়েনি মোলিনার ছেলেরা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেই খেলায় ফিরে আসে তারা। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে, পেনাল্টি পায় বাগান শিবির। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে মোহনবাগানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। খেলার ৮৪ মিনিটে, কর্নার থেকে আসা ফিরতি বলে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করে যান অনিরুদ্ধ থাপা (Anirudh Thapa)।

আর এরপরই সেই বিশাল ম্যাজিক। বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে চতুর্থ পেনাল্টি নিতে আসা নার্জারির শট এবং ইভানোভিচের শট বাঁচিয়ে দিয়ে দলকে ফাইনালে তোলেন তিনি।

নির্ধারিত সময় পর্যন্ত খেলার ফলাফল ছিল ২-২। আর টাইব্রেকারের ফলাফল ৪-৩। ডুরান্ডের ফাইনালে সবুজ মেরুন।

অন্যদিকে, এদিন ম্যাচ চলাকালীন গ্যালারি থেকেই আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে স্লোগান ওঠে। সবথেকে বড় বিষয়, এই ম্যাচে টিফো নিয়ে প্রবেশ নিষেধ ছিল। কিন্তু এদিন দুপুরে মোহনবাগান সমর্থক এবং বাম ছাত্র নেতা ময়ূখ বিশ্বাসের করা একটি মামলায় সেই নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত উড়িয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলায় রায় দিয়ে জানায়, টিফো নিয়ে মাঠে ঢোকা যাবে। মামলাকারীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। ফলে, এদিন মাঠে দুটি টিফো দেখা যায়। যদিও সূত্রের খবর, পুলিশ প্রাথমিকভাবে একটি টিফোকে আটকায়। কিন্তু পরে ছেড়ে দেয়।

প্রথম টিফোটি ছিল মূলত আর জি কর কাণ্ডের বিচারের দাবিকে সামনে রেখে। আর দ্বিতীয় টিফোটি ছিল জেসন কামিংসকে ঘিরে।

আর সবশেষে এই ম্যাচে জয় পেল বাগান শিবির। এবার লক্ষ্য শুধুই ফাইনাল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!

Latest Videos

'লাইভ স্ট্রিমিং-য়ে আপত্তি কোথায়? মুখোশ খুলে যাবে?' মমতাকে প্রশ্ন শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari
'লাইভ স্ট্রিমিং-য়ে কীসের সমস্যা মুখ্যমন্ত্রীর?' বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় হতাশ জুনিয়র ডাক্তাররা | R G Kar
এবার রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি জুনিয়র ডাক্তারদের, দেখুন কী বললেন আন্দোলনরত ডাক্তাররা | R G Kar
'আপনি চটিটা কম চাটুন' কাকে বললেন শুভেন্দু অধিকারী? Suvendu Adhikari | R G Kar Protest
১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার এই ব্যক্তিদের ব্যবসায় ভালো আয় হতে পারে, দেখুন জ্যোতিষ কথা | ajker rashifal