সংক্ষিপ্ত
দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। টানটান উত্তেজনার সেমিফাইনালে জয় মোহনবাগানের (Mohun Bagan)।
দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। টানটান উত্তেজনার সেমিফাইনালে জয় মোহনবাগানের (Mohun Bagan)।
সত্যিই এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের সাক্ষী থাকল গোটা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। দুরন্ত জয় এবং রাজকীয় ঢঙেই যেন ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) সেমিফাইনাল ম্যাচে ফিরে আসল সবুজ মেরুন ব্রিগেড।
যদিও শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি মোহনবাগানের জন্য। প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারত তারা। বল পোষ্টে লেগে ফিরে না আসলে লিড নিতে পারত সবুজ মেরুন ব্রিগেড। কিন্তু তা হয়নি। উল্টে খেলার ৪৩ মিনিটে, পেনাল্টি থেকে গোল করে বেঙ্গালুরু এফসিকে (Bengaluru FC) এগিয়ে দেন সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)।
টপ বক্সের ভিতর লিস্টন কোলাসোর (Liston Colaco) ফাউলের জেরে পেনাল্টি বক্সে পড়ে যান ভিনিথ। আর সোজাসুজি পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। ফার্স্ট হাফ শেষ হয় ১-০ ফলাফল নিয়ে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে চেপে ধরে মোহনবাগান। কিন্তু ফের আবার গোল করে ম্যাচে লিড নেয় সেই বেঙ্গালুরু। এবার খেলার ৫০ মিনিটে, গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন ভিনিথ (Vinith)।
কিন্তু হাল ছাড়েনি মোলিনার ছেলেরা। ম্যাচের আগেরদিন কোচ বলেছিলেন, “ছেলেরা তৈরি আছে।” বাস্তবেই তা দেখা গেল এদিন। যদিও ম্যাচের ২৭ মিনিটে, চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বোস। তবে সেকেন্ড হাফে মাত্র ১৯ মিনিটের মধ্যেই দুরন্ত কামব্যাক করল মোহনবাগান। কার্যত, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেই খেলায় ফিরে আসল তারা।
ম্যাচের ৬৮ মিনিটে, পেনাল্টি পায় বাগান শিবির। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে মোহনবাগানকে ম্যাচে ফিরিয়ে নিয়ে আনেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। খেলার ৮৪ মিনিটে, কর্নার থেকে আসা ফিরতি বলে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করে যান অনিরুদ্ধ থাপা (Anirudh Thapa)। মাঝমাঠ থেকে বলের সাপ্লাই লাইন জারি রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেন তিনি।
ম্যাচের ফলাফল তখন ২-২। রীতিমতো লড়াই করেই ম্যাচে ফিরে আসে মোহনবাগান, আর সেইসঙ্গেই গ্যালারিতে শুরু হয়ে যায় মোহন জনতার গর্জন। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আর তখন থেকেই জারি বিশাল বন্দনা।
যদিও প্রথম তিনটি শটে পরাস্ত হন তিনি। কিন্তু বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে চতুর্থ পেনাল্টি নিতে আসা নার্জারির শট রুখে দেন বিশাল কেইথ। ঠিক তার পরমুহূর্তেই মিস করেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। ম্যাচে তখন একেবারে হাইভোল্টেজ পরিস্থিতি। কিন্তু আবারও সেই ত্রাতা বিশালই। ইভানোভিচের শট বাঁচিয়ে দিয়ে দলকে ফাইনালে তুললেন তিনিই।
টাইব্রেকারের ফলাফল ৪-৩। মোহনবাগান আবারও ডুরান্ডের ফাইনালে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।